পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী পুরুষটিও অণ্ডকোষের ব্যথায় কাবু হয়ে পড়নে। সংক্রমণ থেকেই অণ্ডকোষে প্রদাহ ও ব্যথা হয়। নানা কারণে এই সংক্রমণ হতে পারে। এই সংক্রমণ হতে পারে এসটিআই বা যৌনতাবাহিত ভাইরাস সংক্রমণের ফলে। অথবা ইউটিআই বা মূত্রাশয়ের সংক্রমণের ফলে। সংক্রমণের ফলে অণ্ডকোষ ফুলে গিয়ে ব্যথা করে। এই ব্যথা থেকে মুক্তির জন্য পুরুষরা সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করেন।
তবে এর কিছু ঘারোয়া দাওয়াইও রয়েছে যেগুলো বেশ কার্যকর। এই দাওয়াইগুলো সেবনের পরও যদি দুই দিনের মধ্যে ব্যথা না কমে তাহালে ডাক্তারের সঙ্গে যোগোযোগ করতে হবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক দাওয়াইগুলো কী।
১. ক্র্যানবেরি জুস-
অণ্ডকোষে ইনফেকশনের কারণ যদি হয় ইউটিআই তাহলে ক্র্যানবেরি জুস খেতে হবে।
প্রতিদিন ১ গ্লাস করে চারদিন খেলেই ব্যথা কমে আসবে।
২. হলুদ-
বড় এক গ্লাস ঘোলের সঙ্গে এক চা চামচ হলুদ গুড়ো মিশিয়ে পান করুন। প্রতিদিন তিনবার এই পানীয়টি খেলে অণ্ডকোষের ব্যথা কমে আসবে।
৩. পান পাতা ও মধু–
পান পাতায় মধু মাখিয়ে নিন। এরপর অণ্ডকোষের যেখানে ব্যথা হচ্ছে সেখানে পান পাতাটি লাগিয়ে রাখুন। যেন ত্বকে মধু লাগে। এভাবে লাগিয়ে রেখে ৩-৪ ঘন্টা রেখে দিন। এরপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন প্রদাহ ব্যথা এবং সংক্রমণ কমে এসেছে।
৪. অলিভ অয়েল–
৯ ফোটা অলিভ অয়েল, ১ ফোটা নাইজেলা তেল এবং ৭ ফোটা মাছের তেল নিন। এরপর সেগুলো একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি থেকে কয়েকফোটা নিয়ে প্রতিরাতে অণ্ডকোষে লাগান। এভাবে তেলের মিশ্রণটি ৪-৭ দিন ব্যবহার করুন। দেখবেন সংক্রমণ দূর হয়ে যাবে।
৫. রসুন–
আধা চা চামচ রসুনের জুস নিয়ে এর সঙ্গে এক টেবিল চামচ তিলের বীজের তেল মেশান। কয়েকটি নিম পাতা পিষে পেস্ট তৈরি করুন। এরপর সামান্য পরিমাণে পেট্রোলিয়াম জেলি নিন। সবগুলো উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে অণ্ডকোষের যে অংশটুকুতে ব্যথা হচ্ছে সেখানে হালকা ঘষে লাগান। প্রতিদিন ঘুমের আগে এভাবে ২-৩ দিন পেস্টটি ব্যবহার করুন।
৬. কর্পূর
ডিমের সাদা অংশ, মধু, কর্পূর এবং গ্লিসারিন সমপরিমাণে নিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এরপর সেই মিশ্রণটি অণ্ডকোষে লেপে দিন।
৭. কলার ফুল
একটি কলার ফুল নিয়ে তা এক বা দুদিনে রোদে শুকিয়ে নিন। শুকানোর পর তা গুড়ো করে পাউডার বানান। এক লিটারের একটু বেশি ছোট একটি পাত্রে জল ভরে ওই পাউডার থেকে ১ টেবিল চামচ নিয়ে তাতে মেশান। একদিন ভিজিয়ে রাখার পর পরের দিন সকালে খালি পেটে পান করুন। সেদিন আর কিছু খাবেন না। পরের দিন দুধ পান করুন। এবং উপোস করুন। এভাবে করলে অণ্ডকোষের সংক্রমণ সেরে যাবে।