‘অর্গ্যাজম’ যৌন উত্তেজনার চরম পর্যায়। পুরুষ ও নারী লিঙ্গভেদে এই অর্গ্যাজম এর পার্থক্য থাকে। এর মাধ্যমে যৌন সুখানুভূতির সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাওয়া যায়। কেবলমাত্র ইচ্ছাশক্তির জোরেই অর্গ্যাজম করা সম্ভব। আপনি চাইলে যৌন অনুভূতির এই চরম পর্যায় পেতে পারেন মাত্র কয়েক সেকেন্ডে আবার এটি করতে পারেন খুব দীর্ঘ । আজকের এই ব্লগে সেক্স করার সময় পুরুষরা যেসব ভুল করে থাকে এবং মেয়েদের খুব সহজে অর্গাজম করার কিছু ট্রিকস জানতে পারবেন।
স্বামী উত্তেজিত হলে তার একমাত্র লক্ষ্য থাকে স্ত্রীর যোনিপথে প্রবেশ, অন্য কিছুর ধৈর্য্য তার তখন থাকে না। পর্যাপ্ত প্রেম সত্যেও বেশিরভাগ পুরুষ তখন মধুর প্রেমক্রীড়া করতে পারে না, ফলে মিলনের সময়টা কমে আসে।
ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের অর্গাজম হতে সময় বেশি লাগে। তাই অনেক ক্ষেত্রে স্বামীর যদি অল্পতেই বীর্যপাত হয়ে যায়, তাহলে স্ত্রীর কপালে আর নিজের অর্গাজম হওয়ার সুখ জোটে না। অথবা স্বামী যদি এ ব্যাপারে খেয়াল না রাখেন, তাহলে স্ত্রীর হয়ত এভাবেই শুধু স্বামীকে সুখ দিয়েই জীবন কাটাতে হতে পারে।
নারী অর্গাজমের প্রকারভেদ :
শুধুমাত্র সঙ্গম করলেই বা যৌনাঙ্গ স্পর্শ করলেই অর্গাজম হয় না। মেয়েদের মূলত দু’ধরনের যৌন সুখানুভূতি হয়।
প্রথমত, সঙ্গমের সময় মেয়েদের গর্ভাশয়ে পুরুষাঙ্গের আঘাতের ফলে(পেনিট্রেশন) এক রকম সুখানুভূতি হয়। এটিকেই প্রধানত অর্গাজম বলে ধরা হয়।
কিন্তু মেয়েদের অপর এক রকম সুখানুভূতি হয় এবং সেই অর্গাজমটিই মেয়েদের শরীরে প্রবল উন্মাদনার সৃষ্টি করে। এই অর্গাজমটি মেয়েরা সবচেয়ে বেশি উপভোহ করে। এই দ্বিতীয় ধরনের অর্গাজমের যে সুখানুভূতি তা পেনিট্রেশনের সুখানুভূতির চেয়েও বেশি। এই ধরনের অর্গাজম সঙ্গম করতে করতে হতে পারে আবার সঙ্গম ছাড়াও হতে পারে। সঙ্গম না করেও কীভাবে মেয়েরা এই অর্গাজম উপভোগ করেন তার কয়েকটি উপায় জেনে নিন-
নারীর অর্গাজম করার কয়েকটি সহজ ট্রিকস :
- শুধু স্তনবৃত্ত দু’টি যদি আলতো করে স্পর্শ করা হয় বা স্তনবৃত্ত যদি আঙুলে একটু চেপে ধরা হয় তবে এই ধরনের অর্গাজম হতে পারে।
- যোনির ভিতরে নয়, ভালভার ভিতরের অংশটি আঙুল দিয়ে অল্প রাব করলে এই অর্গাজম হতে পারে।
- পুরুষাঙ্গটি ভালভাবে ও ক্লিটোরিসে শুধু রাব করলেও মেয়েদের এই দ্বিতীয় ধরনের অর্গাজম হয়।
- অনেক সময় শুধু ডার্টি টক করলেও মেয়েদের এই অর্গ্যাজম হতে পারে।
- অনেক মেয়েরা পর্ন দেখতে দেখতেও অর্গাজমিক বোধ করেন।
- অনেক মেয়ের শরীরের বিশেষ বিশেষ অংশে আলতো কামড় দিলেও এই অনুভব হয়।
- পুরুষ সঙ্গী নিতম্বে মাসাজ করলেও অনেক ক্ষেত্রে এই অনুভূতি হয়।
নারী ও পুরুষের অর্গাজম:
মেয়েরা উত্তেজিত হলেই কিন্তু ভিজে যায় সেটা বীর্যপাত নয়। ছেলেরা উত্তেজিত হলে পেনিস শক্ত হয় আর পেনিসের আগ্রভাগে হালকা ২/১ ফোটা জল জল বের হতে পারে এটাও বীর্য নয়।
মেয়েরা উত্তেজিত হলে স্তনের বোটা শক্ত হয় আর যোনি ভিজে যায়। আর বীর্যপাত হলে অন্য রকম একটা আনন্দ পাওয়া যায় এটাকেই চরম পুলক, বা অর্গাজম বলে।
ছেলেদের যেমন একবার বির্যপাত হলে কয়েক মিনিটের মধ্যে সেক্স করার ইচ্ছে মরে যায়, লিঙ্গোত্থান হয় না। মেয়দেরও অরগাসম হলে এমন ফিলিংস হয়। তখন তার যৌনাখাঙ্কা আর থাকেনা। বরং যোনীতে ব্যাথা অনুভুত হয় এবং যোনী শুকিয়ে যায়।
আপনি যদি দিনে পাঁঁচ বার সেক্স করেন, স্বামীর হয়ত ৫ বারই বীর্যপাত হবে। কিন্তু স্ত্রীর ১ বারের বেশি হবে না। আর মাসে খুব বেশী হলে ৫ / ৭ বার বা তার একটু বেশী হতে পারে । রেগুলার অর্গাজম হবে, বিষয়টা তেমন নয়।
অনেকেই ভাবেন, তার স্ত্রীর অর্গাজম হয়না, বা হলেও খুব কম! তাতে কি তার স্ত্রী আনন্দ বা সুখ পাচ্ছেনা? তাদের উত্তর হলো – যদি সঠিক নিয়মে সঙ্গম হয়, তাহলে অর্গাজম না হলেও একটা আনন্দ পাওয়া যায়।
সঙ্গমের পুর্বে কিছক্ষন শৃঙ্গার করতে হবে। সঙ্গমের সময় একটু দীর্ঘায়ীত করতে হবে। এক সুযোগে কিছু রোমাঞ্চকর কথা বলতে হবে। তাতে বীর্যপাতের চেয়েও বেশী আনন্দ পাওয়া যায়।
যৌনাসঙ্গমে সতর্কতা :
যৌন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর মতে ভিনদেশী কোন কালচার স্ত্রীর উপর চাপিয়ে দিলে, হিতে বিপরীত হতে পারে। এটাও খেয়াল রাখতে হবে। কারন, এতে করে স্ত্রীর যৌনাকাঙ্খাই নস্ট হতে পারে, বা একটা বিরুপ অনুভুতি চলে আসতে পারে। এজন্য অপছন্দনীয় কিছু চাপিয়ে দেয়া ভুল হতে পারে। তাই এদিকে সতর্ক থাকতে হবে।