যে-কোনও কাজই প্রথমবার করার আগে একটু ভয় লাগা, একটু বুক ধুকপুক করা – এগুলো খুব স্বাভাবিক ব্যাপার; তা সে প্রথমবার কলেজে পরীক্ষা দিতে যাওয়া হোক অথবা শারীরিক মিলন!
১। প্রথমবার শারীরিক মিলনের সময়ে বেশ ভালই ব্যথা লাগে!
প্রতিটি মেয়ের শরীরের গঠন আলাদা এবং তাদের অনুভূতিগুলোও যে একে ওপরের থেকে আলাদাই হবে তা জানা কথা! তবে প্রথমবার যখন একটি ছেলে এবং একটি মেয়ের মধ্যে শারীরিক মিলন ঘটে তখন মেয়েটি যথেষ্ট ব্যথা পায়। কারও ক্ষেত্রে হয়ত ব্যথার মাত্রা একটু কম আবার কারও ক্ষেত্রে বেশি। আরও একটি আশ্চর্যের বিষয় হল, ব্যথা শুধু মেয়েদের না, ছেলেদেরও লাগে!
২। দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থবারেও ব্যথা লাগে ভাই!
আপনি যদি মনে করেন বা আপনার প্রেমিক বা স্বামী যদি আপনাকে বলেন যে আচ্ছা, প্রথমবার ছিল তাই ব্যথা লেগেছে, এরপর থেকে আর লাগবে না, তাহলে ভুল ভাবছেন! কারণ পরপর বেশ কিছুদিন যন্ত্রণা হয় এবং ধীরে ধীরে যন্ত্রণার মাত্রা কম হতে থাকে। কাজেই আপনাকে যদি কেউ বলেন যে আর ব্যথা লাগবে না, তাহলে বিশ্বাস করবেন না একদম!
৩। কষ্ট না করলে কি আর কেষ্ট মেলে?
কারও কারও মতে প্রথমবার শারীরিক মিলনের ফলে খুব কষ্ট হয় আবার কারও মতে কষ্ট একটু হয় বটে তবে সুখানুভূতিও কম কিছু পাওয়া যায় না। দেখুন, একটা কথা তো মানবেন, কষ্ট না করলে কেষ্ট পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রেও ব্যাপারটা ওই মোটামুটি একইরকম!
৪। সারাক্ষণই ভেজা ভেজা মনে হয়-
প্রথমবার শারীরিক মিলনের পর অন্তত পরের দু’তিনদিন সব সময়েই মনে হয় যেন যোনিপথ ভিজে আছে অথবা কখনও হয়ত প্যান্টিও ভিজে যেতে পারে। এতে ঘাবড়ানোর কোনও কারন নেই। এটি অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার।
৫। প্রথম প্রথম সব পজিশনই বেশ এক্সাইটিং বলে মনে হয়-
আজ্ঞে হ্যাঁ, প্রথমদিকে শারীরিক মিলনের সময়ে সব ধরনের পজিশনই বেশ মজাদার বলে মনে হয় কিন্তু যত দিন যেতে থাকে ততই সবকিছু পুরনো বলে মনে হয়। আমাদের তরফ থেকে ছোট্ট একটি সাবধানবানী – উত্তেজনায় আবার এমন যেন না হয় যে নতুন কিছু একটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে গিয়ে কোনও দুর্ঘটনা ঘটে গেল! মনে রাখবেন আপনি ইন্টারনেটে যা দেখেছেন তা কিন্তু সম্পূর্ণ সত্য নয়!
৬। আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়-
আরে হাসছেন কেন? সত্যি! প্রথমবার শারীরিক মিলনের পর নিজেকে বেশ একটা কেউকেটা বলে মনে হয় অনেকেরই। ‘আমিও কিছু একটা করে ফেলেছি’ – এরকম মনোভাবও দেখা যায়।
৭। মনে হয় যেন আপনাকেই সবাই দেখছে
প্রথমবার যখন আপনি আপনার সঙ্গীর সঙ্গে মিলিত হন তারপরে যদি আপনার এমন মনে হয় যে সবাই বুঝি জেনে গেল বা বুঝে গেল যে আপনি যা করার করে ফেলেছেন, তাহলে তা আপনার মনের ভ্রান্ত ধারণা; কারণ শারীরিক মিলনের পর আপনি নিজে যদি সেকথা কাউকে না বলেন তাহলে অন্য কারও পক্ষে তা বোঝা সম্ভব নয়।