বে-লাগাম যৌনতার জেরে পুরুষাঙ্গে চিড় ধরার ঘটনা নতুন নয়। যৌন মিলনের বিশেষ তিন রকম ভঙ্গিই এমন যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা ডেকে আনে।
সারারাত উদ্দাম যৌন মিলনের ফলে অনেক সময় পুরুষ ও নারী, উভয়ের যৌনাঙ্গে আঘাত সৃষ্টি করে। সমস্যা এড়াতে রতিক্রিয়ার মোট ৩ রকম ভঙ্গি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের একদল চিকিত্সক।
এর মধ্যে প্রথমেই এড়িয়ে যেতে বলা হয়েছে কাউগার্ল সেক্স পজিশন। এই অবস্থায় সঙ্গমকালে শায়িত পুরুষের উপর শিরদাঁড়া সোজা রেখে বসেন নারী। তাঁর নিয়ন্ত্রণেই থাকে মিলনের গতি ও অবস্থানের নিয়ন্ত্রণ। চিকিত্সকদের দাবি, এর ফলে যে কোনও সময় বেঁকে গিয়ে মারাত্মক চোট পেতে পারে লিঙ্গ। ছিঁড়ে যেতে পারে লিঙ্গের পেশি।
দ্বিতীয় যে যৌনমিলনের ভঙ্গি সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা সচেতন করেছেন, তা হল ডগি স্টাইল। কুকুর-সহ চতুষ্পদদের অনুকরণ করে সঙ্গিনীকে সামনে রেখে পিছন থেকে যোনিতে লিঙ্গ প্রবেশ করানোর চেষ্টায় বিপদ বাড়ে। এই অবস্থাতেও মিলনের সময়কার গতিবেগ ও কৌণিক অবস্থান থাকে নারীর নিয়ন্ত্রণে। প্রবল কামোত্তেজনার বশে অতি দ্রুত বেগে বার বার যোনিতে লিঙ্গ প্রবেশ করানোর সময় প্রায়ই অজান্তে নারীর যোনি হাড়ে ধাক্কা খেয়ে মারাত্মক আঘাত পেতে পারে লিঙ্গ। এর জেরে তাতে চিড় ধরতে পারে।
তৃতীয় যে যৌনভঙ্গি সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে, বিশ্ব তাকে মিশনারি সেক্স পজিশন নামে চেনে। যৌন মিলনের আপাত স্বাভাবিক এই ভঙ্গিও ক্ষেত্র বিশেষে ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। অতি উত্তেজনার জেরে যোনিতে প্রবেশ করার সময় লিঙ্গের কৌণিক অবস্থানে সামান্য হেরফের ঘটলেই এমন বিপদের আশঙ্কা থাকে। অর্থাত্ লিঙ্গ যদি ১১০-৯০ ডিগ্রি অবস্থানে তীব্র গতিতে যোনিতে প্রবেশ করে, অনেক সময় নারীর শ্রোণি হাড়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে বড়সড় চোট পেতে পারে। এতে লিঙ্গের অভ্যন্তরীণ পেশি ছিঁড়ে রক্তক্ষরণ এবং অসহ্য যন্ত্রণা সৃষ্টি হয়।