যৌনতা বা যৌনরোগ সম্পর্কে অকারণ ভীতি, অজ্ঞতা বা সংকোচের ফলে বিপদ আরও বাড়ছে। তাই এ সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি।
পৃথিবী জুড়েই বাড়ছে যৌনরোগের প্রকোপ। সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি গবেষণায় পাওয়া তথ্য বলছে, প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে অন্তত ২ কোটি মানুষ যৌনরোগে আক্রান্ত হন। এদের মধ্যে প্রায় ১ কোটি আক্রান্তের বয়স ১৫ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। যৌনতা বা যৌনরোগ সম্পর্কে অকারণ ভীতি, অজ্ঞতা বা সংকোচের ফলে বিপদ আরও বাড়ছে। তাই এ সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি। যৌনরোগ থেকে ক্যান্সার, অন্ধত্ব, সন্তানের জন্মগত সমস্যা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আসুন এ সম্পর্কে কিছু জরুরি তথ্য জেনে নিন…
১) অধিকাংশ মানুষেরই ধারণা হল, শুধুমাত্র শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমেই যৌনরোগ ছড়ায়। কিন্তু বাস্তবে যৌনরোগ সম্পর্কে এটি হল সবচেয়ে বড় ভুল ধারণা। হার্পিস বা জেনিটাল ওয়ার্ট ত্বকের সংস্পর্শের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে।
২) নিরাপদ শারীরিক সম্পর্কের জন্য কনডোম ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হলেও তা ১০০ ভাগ সুরক্ষিত নয়। সাধারণত তরলের মাধ্যমে ছড়ায় এমন সব যৌনরোগ থেকে কনডোম সুরক্ষা দিতে পারে। যেমন, গনোরিয়া, ক্ল্যামাইডিয়া বা এইচআইভি। কিন্তু ত্বকের সংস্পর্শে ছড়ায় এমন সব যৌনরোগ যেমন সিফিলিস, হার্পিস এবং এইচপিভিকে আটকাতে কনডোম তেমন কার্যকরী নয়।
৩) যৌনাঙ্গ থেকে তরল নিঃসৃত হওয়া, মূত্রে জ্বালা ভাব, শারীরিক সম্পর্কের সময়ে ব্যথা বা রক্তপাত, তলপেটে ব্যথা, মলদ্বার দিয়ে রক্তপাত এবং গলায় সংক্রমণ… এই সব উপসর্গের কোনওটি দেখলে অবশ্যই যৌনরোগের পরীক্ষা করান, চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। কারণ, এগুলি যৌনরোগের প্রধান কিছু উপসর্গ।
৪) এইচপিভি (HPV) বা হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস এমন এক ধরনের ভাইরাস যা যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়ায় এবং বেশ কয়েক ধরনের ক্যান্সারের জন্য দায়ি। অনেকের মধ্যে এই ভাইরাস কোনও উপসর্গ ছাড়াই বছরের পর বছর থাকতে পারে।
৫) বেশির ভাগ যৌনরোগই উপযুক্ত চিকিৎসায় সম্পূর্ণ সেরে ওঠে। কিন্তু চিকিৎসায় অবহেলা করলে তা ভবিষ্যতে এইচআইভির ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে যাঁদের সিফিলিস, গনোরিয়া বা হার্পিস হয় তাঁদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি অনেকটাই বেশি।
তাই নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কে জড়িত থাকলে বছরে অন্তত একবার পরীক্ষা করান উচিৎ।