ফল মানেই উপকারি নয়, প্রেগন্যান্সিতে এই ফলগুলো থেকে দূরে থাকুন:-
প্রেগন্যান্সিতে পুষ্টিকর খাবার খেতেই হয়৷ ডাক্তাররা মাছ, মাংস, ডিমের পাশাপাশি ডায়েট চার্টে অবশ্যই ফল রাখতে বলেন৷ তবে সব ফল কিন্তু প্রেগন্যান্সিতে উপযুক্ত নয়৷ কিছু ফল থেকে এই সময় দূরে থাকাই ভাল৷ কারণ খেলে হিতে বিপরীত ফল হতে পারে৷
এই তালিকায় প্রথমেই থাকবে আনারসের নাম৷ আনারস খেলে জরায়ুর সংকোচন হয়৷ তাই আনারস খেলে গর্ভপাত হয়ে যায়৷
আঙুরে থাকে রেজভারেট্রল যা প্রেগন্যান্সিতে শরীরে গেলে টক্সিক হতে পারে৷ এই সময় আঙুর খেলে মর্নিং সিকনেসের প্রবণতা যেমন বাড়ে, তেমনই হবু মায়েরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারেন৷
গর্ভাবস্থায় টক, আচার খেতে অনেকেরই ভাল লাগে৷ তবে এই সময় তেঁতুল এড়িয়ে চলাই ভাল৷ তেঁতুলে থাকা প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি প্রোজেস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ কমায়৷ শরীরে প্রোজেস্টেরন কমে গেলে জরায়ুর সংকোচন হয়৷ ফলে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ে৷
পেঁপে অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল হলেও প্রেগন্যান্সিতে তা মারাত্মক ক্ষতিকারক৷ পেঁপেতে থাকা ল্যাটেক্স জরায়ুর সংকোচন ঘটায়৷ ফলে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ে৷ আবার পেঁপে খেলে শরীরের তাপমাত্রাও বাড়ে যা গর্ভস্থ শিশুর জন্য ক্ষতিকারক৷
কলা প্রেগন্যান্সিতে পুষ্টিকর হলেও ডায়াবেটিস থাকলে বা অ্যালার্জি থাকলে কলা খেতে বারণ করা হয় এই সময়৷ কলায় থাকা কাইটিনেজ, যা এক ধরনের অ্যালার্জেন, এই সময় ল্যাটেক্স হিসেবে কাজ করে৷ ফলে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ে ডায়াবেটিকদের৷
তরমুজ শরীর হাইড্রেটেড রাখতে ও টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে৷ তবে টক্সিন বেরনোর সময় প্রেগন্যান্সিতে ভ্রুণ অতিরিক্ত টক্সিনের সংস্পর্শে এলে তা ক্ষতিকারক৷ আবার তরমুজ শরীরের তাপমাত্রা অত্যন্ত কমিয়ে দেয়৷ যা হিতে বিপরীত ফল দেয়৷
খেজুরে প্রচুর ভিটামিন ও আয়রন থাকা সত্ত্বেও প্রেগন্যান্সিতে খেজুর খেতে বারণ করা হয়৷ কারণ খেজুর শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়৷ যার ফলে পেশীর সংকোচন হয়৷ অসময়ে জরায়ুর পেশী সংকুচিত হয়ে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ে৷