সন্তানের জন্মের ক্ষেত্রে শুধু মহিলাদেরই নয়, পুরুষদেরও সমান দায়িত্ব নিতে হয়। সন্তানের ভালো-মন্দের জন্য যেমন দায়ী মহিলারা, পুরুষদের দায়িত্বও একেবারে সমান। গর্ভধারণের ক্ষেত্রে দুজনের সমান ভূমিকা থাকে। একজন মহিলা তখনই গর্ভবতী হন যখন পুরুষের উর্বরতা সঠিক থাকে। পুরুষের বীর্যের গুণমান ও পরিমাণ দুটোই সঠিক পরিমাণে থাকলে তবেই মহিলার গর্ভে না জাইগোট হয়ে ভ্রুণ তৈরিতে সাহায্য করে। এর দুটোর কোনও একটায় খামতি থাকলে সন্তানের জন্মের সময়ে নানা অসুবিধা হয়। আজকের দিনে জীবনযাত্রার নানা অসুবিধা তো রয়েইছে, তার সঙ্গে পুরুষের নানা বদভ্যাস যেমন ধূমপান, মদ্যপান ও ক্লান্তি-অবসাদের ফলে পুরুষের উর্বরতা একেবারে তলানিতে এসে ঠেকছে। যৌন মিলনের সময়ে যেমন অতৃপ্তি গ্রাস করছে, তেমনই সন্তান জন্মের সময়ও এই উর্বরতাই বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ফলে কারও উর্বরতা নিয়ে কোনও সমস্যা হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। তবে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে অবশ্যই এই নিয়ে বিশেষ উপকার পাবেন আপনি।
প্রথম টিপস
শরীর স্থূল হলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা এসে ভিড় করে। ফলে আপনি মোট হলে অবিলম্বে ওজন কমানোর দিকে নজর দিন। অনেক ক্ষেত্রে স্থূলত্ব বীর্যের গুণমাণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এছাড়া শারীরিক মিলনের সময়ও নানা অসুবিধার সৃষ্টি হতে পারে।
দ্বিতীয় টিপস
নিয়মিত শরীরচর্চা করার দিকেও মন দিন। প্রতিদিনের শরীরচর্চা পুরুষাঙ্গকে শক্তিশালী করে তোলে। গোপনাঙ্গে রক্ত চলাচল বাড়লে বীর্যের গুণমাণ ও পরিমাণ পরোক্ষে ভালো হয়। এছাড়া শারীরকভাবে সক্ষম থাকলে যৌন মিলনের সময়ও অনেকটা বেড়ে যায়।
তৃতীয় টিপস
অনেক সময়ে আমাদের ডায়েট যৌন সুস্থতায় বড় প্রভাব ফেলে। কারও যৌন উর্বরতার মান সঠিক না থাকলে ডায়েট পাল্টে দেখা যেতে পারে। বেশি করে সবজি ও ফল ডায়েটে ঢোকালে শরীরের নানা উপকার যেমন হয়, একইসঙ্গে বীর্যের গুণমাণও বেড়ে যায়।
চতুর্থ টিপস
পুরুষের যৌনাঙ্গের নানা সমস্যায় বা উর্বরতা কম হলে অনেক সময়ে যৌনাঙ্গে হালকা মাসাজ করা যেতে পারে। এতে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া মসৃণ হবে এবং পরোক্ষ উপায়ে বীর্যের উৎপাদন বেড়ে যাবে বলে মনে করা হয়।
পঞ্চম টিপস
পুরুষাঙ্গকে হালকা করে মাঝে মাঝে টেনে ধরলে যৌনাঙ্গে উদ্দীপনা বাড়ে। রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া উন্নত হলে তবেই মিলনের সময়ে উপকার পাওয়া সম্ভব। তবে উদ্দীপনা বাড়াতে গোপনাঙ্গে গরম কিছু দিয়ে মাসাজ করা কখনও উচিত নয়।
ষষ্ঠ টিপস
কিছু কিছু নির্দিষ্ট ব্যায়ামের ফলেও পুরুষ যৌনাঙ্গের নানা সমস্যার সমাধান হয়ে থাকে। বীর্যের গুণমাণ যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনই পরিমাণেও অনেকটা উন্নতি হয়। যার ফলে সন্তানের জন্ম দিতে সুবিধা হয়।