- 1. শরীর এবং সেক্স, এই দুটি কথায় যদি ছুঁৎমার্গ থাকে, তাহলে বলে রাখা ভাল মনের সঙ্গে শরীরের সঠিক মিলমিশ হলেই সুস্থ ও সুন্দর বিবাহিত জীবনের বুনিয়াদ তৈরি হয়। সম্পর্কের রসায়ন এখানে আলোচ্য বিষয় নয়, যৌনতার পাঠ পড়ানোও উদ্দেশ্যও নয়, তবে সঙ্গমের সঙ্গে সুস্থ শরীরের যে অঙ্গাঙ্গি সম্পর্ক রয়েছে সেটা একবাক্যে স্বীকার করেছেন চিকিৎসক থেকে বিশ্বের নানা প্রান্তের বিজ্ঞানীরা। বিছানায় আকর্ষণ কমা মানেই শুধু সম্পর্কে ছাপ ফেলে তা নয়, অবসাদ গ্রাস করে মনকেও। ফলে, হৃদরোগ, মাইগ্রেন, ইনসমনিয়া থেকে ক্রনিক রোগেরা রীতিমতো পিকনিক শুরু করে দেয় শরীরে। নিয়মিত সঙ্গম এবং পার্টনারের সঙ্গে সুস্থ যৌন সম্পর্ক ভালো রাখে হার্ট। মধ্য চল্লিশের গৃহবধূ থেকে টিউব টপের আধুনিকা, পোশাকে-চলনে-বলনে স্মার্ট হলেও ‘সেক্স’ শব্দটা শুনলেই নাক সিঁটকে সরে যান অনেকেই। সঙ্গম সম্পর্কিত প্রতিবেদন দেখলে ‘এ’ তকমা সেঁটে আওয়াজও তোলেন অনেকেই। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, সঙ্গম মানেই কোনও চটুল, রগরগে বিষয় নয়, বরং সুস্থ যৌন মিলন বশে আনতে পারে যে কোনও দুরারোগ্য ব্যধিকেও। হার্ট সার্জারির পরবর্তী রুটিন জীবনকে ছন্দে ফেরাতে নিয়মিত সঙ্গমের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরাই। যৌনমিলন যেমন মানসিক ও শারীরিক আনন্দ দিতে পারে, তেমনি কর্মক্ষম রাখে শরীরের একাধিক অঙ্গকেও।
- 2. সমীক্ষায় দেখা গেছে যে পুরুষরা নিয়মিত সঙ্গমে লিপ্ত হন তাঁদের হৃদরোগের সম্ভাবনা অনেক কম। শুধু তাই নয়, গবেষণা অনুযায়ী যে সমস্ত পুরুষরা মাসে অন্তত ২১ বার ইজাকুলেট করেন তাদের প্রোস্টেট ক্যান্সারের সম্ভাবনা ২২% কমে যায়।
প্রতিবার সঙ্গমের পর দেহ থেকে যে হরমোন নিঃসৃত হয়, তার প্রভাবে শরীরের পেশি অনেক কার্যক্ষম হয়। রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। দেখা গেছে, নিয়মিত সঙ্গম মাথাব্যথা, মাইগ্রেন, ইনসমনিয়ার মতো রোগকে দূরে রাখে।
যৌন মিলনের ফলে মহিলাদের পেলভিক পেশির শক্তি বাড়ে। সেক্সসুয়াল স্টিমুলেশনের পর অর্গাজম শুধু মানসিক আনন্দ দেয় না, মহিলাদের জীবনীশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। অর্গাজম না হওয়া বা অ্যানঅর্গাসমিয়ার সমস্যায় ভোগেন অধিকাংশ মহিলাই। সংকোচের কারণে চিকিৎসকের কাছে যেতে রাজি হননা অনেকেই। এই সমস্যার সমাধান না হলে, ভবিষ্যতে জটিল রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে।