বিবাহিত নারীরা অনেক সময় স্বামীর সুবিধা অসুবিধা নিয়ে যেমন চিন্তিত থাকে পাশাপাশি অনেকেই তাদের শুরু হওয়া যৌন জীবন নিয়েও এমন কিছু ঝামেলায় পড়েন যা আগে হয়ত ভাবেননি হতে পারে। জেনে অবাক হবেন যে নব্য বিবাহিত মেয়েদের মধ্যেও সেক্স এ অনীহা থাকতে পারে। আর যারা দীর্ঘ দিন সংসার করছেন তাদের তো আছেই ।
স্বামীর সন্তুষ্টির জন্যে অনেকেই মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন মিলনে বাধ্য হন । আবার অনেক স্বামীই স্ত্রীর এহেন অনীহা দেখে বিরক্তও হন । বন্ধুদের কাছে তাদের সংসারের অনেক গল্প শুনে স্ত্রীর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন । যদিও সেক্সটাই একটি সম্পর্কের একমাত্র বন্ধন নয় , তবুও স্বামী স্ত্রীর আত্মার মিলনের জন্যেই এর ভূমিকা অপরিসীম । আজ আমি সেক্স এ অনীহার কারণ ও মুক্তির কিছু উপায় নিয়ে আলোচনা করে আপনাদের সাহায্য করতে চেষ্টা করব।
প্রথমেই জেনে নিন কারণ গুলো :-
সাইকোলজির ভাষায় বলতে গেলে , অনেক পুরুষ ও নারী আছেন যারা যৌন মিলনে একেবারেই উত্সাহ অনুভব করেন না । একে বলে এভারসন , আর যারা কম অনুভব করেন তাদের এই সমস্যা কে বলে হাইপোভারসন । এগুলো হচ্ছে সাইকো সেক্সসুয়াল সমস্যা। তাদের অবশ্যই সাইকিয়াট্রির ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে কাউন্সেলিং করতে হবে। আর যারা স্বাভাবিক মানুষ এবং যাদের যৌন আবেগ আছে কিন্তু বিভিন্ন পরিস্থিতির কারণে সেক্স এ অনীহার সৃষ্টি হয়েছে , তাদের সমস্যা গুলো সাধারণত এরকম –
১. পার্টনারের প্রতি ভালোবাসার অভাব।
২. কাজে ব্যস্ততা ও অতিরিক্ত টায়ার্ড থাকা ।
৩. দীর্ঘ দিনের বিবাহিত জীবনে একে অপরের প্রতি শারীরিক আগ্রহ হারিয়ে ফেলা
মন খারাপ থাকা।
৪. যৌন মিলনে কষ্ট হওয়া বা লুব্রিকেশনের অভাব থাকা ।
৫.কারো প্রতি তীব্র ঘৃণা বোধ।
৬. সেক্স এ আনন্দ না পাওয়া।
৭.সেক্সের সময় পার্টনারের রেসপন্স এর অভাব থাকা।
৮.যৌনাঙ্গে রোগ থাকা (এ ব্যাপারে ভালো একজন যৌন বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন) শেষ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল একটি নতুন জীবন ও অভিজ্ঞতার ব্যাপারে ভয় ও আতঙ্ক ।
৯. সমস্যা গুলোর সবচেয়ে বড় ওষুধ হচ্ছে কাউন্সেলিং। অর্থাত্ একজন আপনাকে সঠিক উপদেশ দিবেন এবং আপনাকে সততার সাথে মন খুলে তার উপদেশ গ্রহণ করতে হবে । পাঠক যদি এই শর্তে রাজি থাকেন তো আসুন একান্তে আলাপ করা যাক।