আমাদের জীবনে চলার পথে বয়স থেমে থাকছে না। তার সাথে পাল্লা দিয়ে যৌবন শক্তি তিলে তিলে কমে যাচ্ছে। আর যৌবন ধরে রাখাবে মাত্র ৪টি খাবার আপনার এই শক্তি হ্রাস পাওয়া থেকে সবসময় রক্ষা করবে।বর্তমান সময়ে আমরা যে পরিমান খাদ্যে ভেজাল পায় এতে শরীরের অনেক দিকে সমস্যা করে।
এটি যেমন স্বাস্থ্যগত সমস্যা করে ঠিক যৌন শক্তি হ্রাস করতে কাজ করে থাকে। তাই আমাদের সকলের মাঝেই একটি শক্তি সারা জীবন বিরাজ করুক এটি চায়। আর এই শক্তি হচ্ছে যৌবন শক্তি । অনেকেই যৌবন ধরে রাখার খাবার সম্পর্কে জানে না। নিযমিত কিছু খাদ্য খেলে আপনার এই মহা মূল্যবান যৌবন ধরে রাখতে পারবেন সারা জীবন। নিচে যৌবন ধরে রাখার সহজ উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো।
১ খেজুর:-
খেজুরের উপকারিতা ও পুষ্টিগুন রয়েছে প্রচুর। ফলটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি খেজুরের পুষ্টি উপাদান রয়েছে পর্যাপ্ত। এই ফলের পুষ্টি উপাদান এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, সালফার,উপকারী তেল,আয়রন, ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম, কপার, ফসফরাস,এবং আরও নানাবিধ খনিজ। প্রতি ১০০ গ্রাম পরিষ্কার ও তাজা খেজুরে ভিটামিন-সি রয়েছে যা থেকে ২৩০ ক্যালরী (৯৬০ জুল)শক্তি উৎপাদন করে। এই ফলটি নিয়মিত খেলে আমাদের শরীরের নানা উপকারে আসে।খেজুরে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন যৌবন শক্তি বৃদ্ধি করতে খুবই কাজ করে থাকে। এতে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম আয়রন ও খনিজ উপাদান রয়েছে যা আমাদের দেহ সুস্থ রাখতে দারুন কাজ করে থাকে। এই ফলে ক্যালরি শক্তি প্রচুর কয়েকটি খেজুর খেলে শরীরের এর্নাজি শক্তি সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায়। এবং কাজ করার মনোবল বৃদ্ধিপায়। প্রতিদিন ৪ থেকে ৬টি খেজুর বিকাল বেলা খেলে আপনার যৌবন শক্তি সব সময় একই থাকবে। আর এই ফল খেলে শরীরের অনেক উপকার পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুরের পুষ্টি উপাদান শক্তি ১,১৭৮ কিজু (২৮২ kcal) শর্করা ৭৫.০৩ গ্রাম,চিনি ৬৩.৬৫ গ্রাম,প্রোটিন ২.৪৫,খাদ্যে ফাইবার ৮ গ্রাম,স্নেহ পদার্থ ০.৩৯ গ্রাম,ভিটামিন সি ০.৪ গ্রাম,ভিটামিন কে ২.৭ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন এ ১০ আইইউ,থায়ামিন (বি১) ০.০৫২ গ্রাম,ন্যায়েসেন (বি৪) ১.২৩৫ গ্রাম বিদ্যামান।
২ মধু : –
মধুর উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ আমাদের বলে শেষ করার মত না। মধুর পুষ্টি উপাদান রয়েছে প্রচুর । এর কারন মধুতে ৪৫ টি খাদ্য উপাদান বিদ্যামান। মধুর পুষ্টি উপাদান গুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখ যোগ্য উপাদান সুগার। আর বর্তমানে আমরা অনেকেই এই সুগার থেকে দূরে থাকি। আমাদের শরীরে মধুতে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ এ দুটি পদার্থ সরাসরি মেটাবলাইজড হয়ে যায় এবং ফ্যাট হিসেবে জমা হয়। এটি শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
তাছাড়া মধুর পুষ্টিগুণ এর মধ্যে রয়েছে অ্যালুমিনিয়াম,বোরন, লেড, ক্রোমিয়াম, জিংক, কপার,ও জৈব এসিড (যেমন-টারটারিক এসিড, সাইট্রিক এসিড, এবং অক্সাইড এসিড), কতিপয় ভিটামিন, হরমোন,প্রোটিন, এসিটাইল কোলিন, এন্টিবায়োটিকস, ফাইটোনসাইডস এবং পানি (১৯-২১%) ইত্যাদি। মধুতে পর্যাপ্ত পরিমানে বিভিন্ন ভিটামিন যেমন যেমন- ভিটামিন সি বা অ্যাসকারবিক এসিড, ভিটামিন বি-১, বি-২, বি-৩, বি-৫, বি-৫, বি-৬, ভিটামিন-কে,ভিটামিন-ই, ভিটামিন-এ বা ক্যারোটিন ইত্যাদি বিদ্যমান।
এতে বুঝা যায় খাঁটি মধুর উপকারিতা অনেক। নিয়মিত মধু খেলে আপনার যৌন শক্তি বৃদ্ধি পাবেই। এর মধ্যে থাকা অসখ্যা ভিটামিন যাহা সেক্স হরমনকে বৃদ্ধি করার পাশাপাশি লিঙ্গ শক্ত ও মজবুত রাখে।
৩ কিসমিস :-
কিসমিসের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ রয়েছে প্রচুর। আর এই কিসমিস বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার হয়। যৌন শক্তি বৃদ্ধি করতে,এটি সেমাই, পায়েশ, মিষ্টি জাতীয় খাবারে ব্যবহার হয়ে থাকে। এই ফলকে শুকনো ফলের রাজাও বলা হয়। কারন কিসমিসের পুষ্টিগুণ বলে শেষ করার মত না। আর এটি আঙুর ফলের শুকনা রূপ।সোনালী-বাদামী রংয়ের চুপসানো ভাঁজ হওয়া ফলটি প্রচুর শক্তিদায়ক ও ক্য়ালরি যুক্ত।কিসমিসে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে। কিসমিস আমাদের শরীরে তাৎক্ষণিক ভাবে দেহে এনার্জি সরবরাহ করে থাকে। প্রতিদিন ৫থেকে ৬টি কিসমিস ও খেজুর একত্রে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন আপনার যত ধরনের যৌন সমস্যা আছে তা দূর হয়ে যাবে। শরীর সুস্থ থাকলে মন সুস্থ থাকে আর মন সুস্থ থাকলে যৌন মিলনে অনেক তৃপ্তি পাওয়া যায়।১০০ গ্রাম কিসমিসে রয়েছে ক্যালরি ২৯৯ কিলোক্যালরি ,প্রোটিন ৩.০৭ গ্রাম,কার্বোহাইড্রেট ৭৯.১৮ গ্রাম, ফ্যাট ০.৪৬ গ্রাম,নিয়াসিন ০.৭৬৬ মিলিগ্রাম,ক্যালসিয়াম ৫০ মিলিগ্রাম,লৌহ ১.৮৮ মিলিগ্রাম,খাদ্যআঁশ ৩.০৭ গ্রাম, ফোলেট ৫ মাইক্রোগ্রাম, সোডিয়াম ১ মিলিগ্রাম,পটাসিয়াম ৭৪৯ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ২৯৯ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১০১ মিলিগ্রাম।
৪ বাদাম:-
যৌন শক্তি বৃদ্ধি করতে বাদাম কার্যকারি ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন ধরনের বাদাম রয়েছে যেমন কাজু বাদাম,পেস্তা বাদাম,কাঠ বাদাম,চিনা বাদাম ইত্যাদি। প্রত্যেকটি বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন,মিনারেল,খনিজ উপাদান,ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম সহ আর ও অনেক উপাদান। তাছাড়া,এতে রয়েছে ওমেগা ৬ এবং ওমেগা ৩ পলি আন-স্যাচুরেটেড ফ্যাট। এতে বুঝা যায় ভিটামিনে ভরপুর বাদাম আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি খাদ্য উপাদান। বিভিন্ন রকমের খাদ্য রিসার্স থেকে বাদামের বহু স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানা গিয়েছে। বিশেষ করে, হার্ট ডিজিজ বা হৃৎপিন্ডের রোগ থেকে এটি আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেয়। প্রতিদিন ৪থেকে ৬টি যে কোন ধরনের বাদাম খেলে শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হবে।পাশাপাশি যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।স্ত্রী মিলনে পরিপূর্ণতা আসবে। বাদামে যেহেতু প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-ই ও ক্যালসিয়াম রয়েছে তাই বীর্যপাতে যে শক্তি খরচ হয় তা বাদাম পূরণ করে। আমারা অনেকই যৌবন শক্তি বৃদ্ধির উপায় জানি না। ফলে বিভিন্ন সমস্যায় পড়ি। প্রাকৃতিক এই খাদ্য গুলো নিয়মিত খেলে যৌন সমস্যার জন্য কোন ডাক্তার বা কবিরাজের কাছে যেতে হবে না।