বীর্য ঘন হলে দীর্ঘসময় মিলন করা সম্ভব। প্রস্রাবের সঙ্গে ধাতু ক্ষয় হবে না। ঘন ঘন স্বপ্নদোষ হবে না। আর বীর্য পাতলা হলে যৌন মিলনের সময় দ্রুত বীর্যপাত হয়ে যায়।
কলমি শাক:
কলমি শাক আমাদের অতি পরিচিত শাক। আমরা সকলি জানি কলমি শাকের গুনাবলী ও পুষ্টিগুন অন্যান্য শাকের থেকে অনেক বেশি। কলমি শাকের রস ৩ চামচ এবং অশ্বগন্ধা মূলের গুড়া দেড় গ্রাম এক কাপ দুধে মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর সময় একবার করে প্রতিদিন খেলে বীর্য ঘন হবে এবং স্বপ্নদোষও বন্ধ হবে।
শিমুল মূল বা শতমুলী:
হস্তমৈথুনের ফলে অধিকাংশ পুরুষের বীর্য পাতলা হয়ে যায়। পর্ণ দৃশ্য নিয়মিত দেখার ফলে ও সেক্স চিন্তা করার জন্য ঘুমের মধ্যে পাতলা বীর্য সহজেই বের হয়ে যায়। শতমূলীর রস ৫০ মিলি লিটার একটি পাত্রে রেখে তাতে ১০০ মি.লি লিটার গাওয়া ঘিয়ে দিয়ে হালকা আচে পাক করতে হবে। এটি তিন গ্রাম নিয়ে আধা কাপ সামান্য গরম দুধের সাথে মিশিয়ে সকালে বিকেলে খেলে বীর্য গাঢ় হবে। শিমুল মূল তাঁজা অবস্থাতে কাঁচা চিবিয়ে খেলেও বীর্য বৃদ্ধি ও ঘন হয়। তবে নিজেকেও কিছুটা সংযত করতে হবে, মানে পর্ণ মুভি বা নারী দেহ নিয়ে চিন্তা করা যাবে না। আর বীর্য ঘন করতে হলে আগে অতিরিক্ত হস্তমৈথুন এর অভ্যাস চির দিনের জন্য বিদায় দিতে হবে। বীর্য ঘন করার সহজ উপায় এর মধ্যে শিমুল মূল বা শতমুলী খুবই উপকারি।
বাদাম:
বাদাম প্রাচীন কাল থেকে নানা ধরণের যৌন রোগের জন্য ব্যাবহারিত হয়ে আসছে। আর বাদাম একটি পুরুষকে যে পরিমান বীর্য বৃদ্ধি ও ঘন করতে সাহায্য করে তা অন্য কোন খাবারে নেই। বিকেল বেলা নিয়মিত বাদাম খেলে প্রচুর পরিমানে বীর্য বৃদ্ধি ও ঘন হয়। বীর্যথলী পরিপূর্ণ থাকলে পুরুষের শক্তি ও উদ্দ্যম স্বাভাবিক থাকে। তাই নিজেকে সুঠাম, শক্তিশালী সহ বীর্য বৃদ্ধি করতে বাদামের জুড়ি নেই। বীর্য ঘন করার প্রাকৃতিক উপায়ের মধ্যের বাদাম অন্যতম।
রামতুলসী:
রামতুলসী পাতার রস একটি উপকারী উপাদান। আর এটি সবচেয়ে বেশি উপকার করে ধ্বজভঙ্গের রোগীর। এটি মাত্র দুই সপ্তাহ নিয়মিত খেলে রোগীর স্বাভাবিক যৌন ক্ষমতা ফিরে আসবে। রামতুলসীর পাতা রস করে সামান্য মধু মিশিয়ে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর পূর্বে সেবন করলে আপনার যৌন দূর্বলতা দূর হবে এবং বীর্য পরিমান মত বৃদ্ধি ও গাঢ় হবে।
আলকুশী:
যৌবনে বয়সে নানা প্রকার কু-অভ্যাসের ফলে অতিরিক্ত শুক্র ক্ষয়ের মাধ্যমে মহামূল্যবান বীর্য তরল হয়ে যায়। আলকুশীর পাকা বীজ চার থেকে পাঁচটি রাতে এক কাপ গরম দুধে ভিজিয়ে রেখে দিন। পরের দিন সকালে বীজগুলোর কোসা ছাড়িয়ে মিহি করে বেটে সামান্য গাওয়া ঘিয়ে বীজকে ভেজে নিতে হবে। ভাজাটা খুব কড়াভাবে ভাজা চলবে না। ঠান্ডা হলে এক চামচ মিসরীগুড়ো মিশিয়ে প্রতিদিন একবার করে খেলে তরল বীর্য ঘন হয়ে যাবে।
লতাকস্তুরী:
লতাকস্তুরী বীজের গুড়া বীর্য ঘন ও বৃদ্ধি করে। এর বীজের গুড়া দেড় গ্রাম, এক গ্লাস ঠান্ডা জলের সাথে মিশিয়ে নিয়মিত সেবন করলে ধীরে ধীরে শুক্র বেড়ে যায়। অনেকের প্রসাবের আগে অথবা পরে প্রস্রাবের সাথে পাতলা বীর্য বেরিয়ে আসে। এ অবস্থায় এ গাছের পাতা নিয়ে বেটে আধা পোয়া জলে চটকে ছেকে নিন। এতে অল্প আখের গুর বা মধু মিশিয়ে শরবত করে খেলে বীর্য গাঢ় হবে।
বেল ও বেল পাতা:
যৌবন উত্তেজনা উম্মচিত হয়ে তরুন যুবক মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথন করে শুক্রক্ষয় করে থাকে। তিন থেকে চারটি বেলপাতা বেটে তার রস আধা কাপ ঠান্ডা জলের সাথে মিশিয়ে কিছুদিন খেলে শরীরে তীব্র কাম উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। তবে বেলপাতা দীর্ঘদিন খাওয়া উচিত নয়। দম্পত্য জীবনে বিপরীত ফলফলা দেখা দেবে। বেশি বেল পাতার রস খেলে যৌন উত্তেজনা অনেক কমে যাবে।
1 thought on “বীর্য ঘন করার প্রাকৃতিক ও সহজ উপায়”
Sir mera Birjo Patla