স্তন বা পুরুষাঙ্গের মাপ কতটা গুরুত্বপূর্ণ! কারও স্তন ছোট, কারও বড়। কোনও পুরুষের যৌনাঙ্গ বড়, কারও ছোট। এসব কি আদৌ যৌনতায় কোনও ফ্যাক্টর?
অনেক মহিলা এবং পুরুষ মনে করেন, লিঙ্গের মাপের ওপর সেক্স নির্ভর করে। তাই কি?
উত্তর— ভুল ধারণা। হয়তো খুব সামান্যই ম্যাটার করে। প্রথম কথা হল, সাধারণ ভাবে পুরুষাঙ্গ ছোট দেখালেও উত্তেজিত হলে তার দৈর্ঘ্য অনেকটা বেড়ে যায়। পুরুষাঙ্গ বা পেনিস খানিকটা যেন বেলুনের মতো। পেনিসের একটি অংশ হল টিউনিকা অ্যালবুজিনিয়া। এখানে রক্তপ্রবাহ বেড়ে গেলে পুরুষাঙ্গ দীর্ঘ ও শক্ত হয়। নেতিয়ে থাকা ছোট্ট একটি বেলুনে বাতাস কিংবা জল ভরলে, তা যেমন অনেক বড় হয়ে যায়, ঠিক তেমনই। ফলে ছোট পুরুষাঙ্গ মানেই তিনি তার পার্টনারকে তৃপ্তি দিতে পারবেন না, এমন ভাবার কারণ নেই। পেনিট্রেশন হবে না, এমন ভাবারও কারণ নেই। সাইজ ডাজ নট ম্যাটার। তাছাড়া মহিলাদের ক্ষেত্রে মালটিপল অরগ্যাজম দেখা যায়। সেটা পেনিট্রেটিভ সেক্সের মাধ্যমে সাধারণত হয় না। স্তনবৃন্তের ডগায় সামান্য ছোঁয়াতেই তিনি অরগ্যাজমে পৌঁছতে পারেন। বিষয়টি জটিল।
মেয়েদের ছোট স্তনও কি সেক্সের ক্ষেত্রে বাধা নয়?
উত্তর— শারীরবিজ্ঞান অনুযায়ী অবশ্যই এটা বাধা নয়। ছোট স্তনের অধিকারী মেয়েরা পার্টনারকে তৃপ্তি দিতে পারেন না বলে যে প্রচলিত ধারণাটি রয়েছে, তার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। আসলে এই ধারণাগুলি এসেছে, নিজেদের শরীর বিষয়ে আমাদের জ্ঞান যথেষ্ট কম থাকার জন্য। সিনেমা, কোনও কোনও বিজ্ঞাপন, তার সঙ্গে পর্নোগ্রাফি দেখে এসব ধারণা হয় অনেকের। আবারও বলছি, সাইজ ডাজ নট ম্যাটার।
সোওয়ারজেনেগারের মতো বিশালদেহী পুরুষ, যেমন বডিবিল্ডাররা সেক্সের ক্ষেত্রে অনেক দক্ষ, সঙ্গীকে অনেক বেশি তৃপ্তি দিতে পারেন, এমন ধারণাও কি ভুল?
উত্তর— এটাও একটা প্রচলিত ধারণা এবং অবশ্যই ভুল ধারণা। বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। কারও ব্যক্তিগত পছন্দ থাকতেই পারে। কিন্তু তার মানেই সুগঠিত চেহারা হতে হবে, অন্যরা সেক্সে অদক্ষ, এমনটা নয়।
সিমেন কি বিষ? বলতে চাইছি, ওরাল সেক্সের ক্ষেত্রে সিমেন অর্থাৎ বীর্য গিলে ফেললে তা কি শরীরে বিষক্রিয়া করবে?
উত্তর— সিমেন বিষ নয়। পেটে গেলে বিষক্রিয়ার আশঙ্কা নেই। তবে, মুখের ভিতরে ক্ষত থাকলে, পেটের ভিতরে ঘা থাকলে আর সিমেনে এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি, সিফিলিস, গনোরিয়ার মতো কিছু জীবাণু থাকলে ওই ক্ষতের মাধ্যমে শরীরে ঢুকতে পারে। কোনও ক্ষত না থাকলে সমস্যা নেই। পেটে গেলেও ক্ষতি হবে না।