কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই বৃদ্ধ বয়সেও সক্রিয় যৌন জীবন থাকতে পারে বৈকি!
বয়স বাড়লেও পুরুষের সেক্স করার সাধ থাকে, কিন্তু অনেক সময় বাধ সাধে সাধ্য। তা বলে কি যৌবনের রোমন্থন করেই সময় কাটাবেন? উঁহু। বরং কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই বৃদ্ধ বয়সেও সক্রিয় যৌন জীবন থাকতে পারে বৈকি!
প্রথমে দেখা যাক, বৃদ্ধ বয়সে পুরুষদের যৌন জীবনে কী ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে?
প্রথমত, বুড়ো বয়সে মূল যে সমস্যা হয়, তা হল সেক্সের ইচ্ছা কমে যাওয়া। যৌবনে টেস্টোস্টেরন হরমোন যথেষ্ট পরিমাণে ক্ষরিত হয় বলে সেক্স করার বাসনা ষোলো আনা থাকে। শরীরও কামের ডাকে সাড়া দেয়। কিন্তু, বার্ধক্যে টেস্টোস্টেরন কমে যায় বলে ইচ্ছেটাও কমে যেতে থাকে।
দ্বিতীয়ত, অনেকেরই ধ্বজভঙ্গ হয়। অর্থাৎ পেনিস উত্থিত হয় না।
তৃতীয়ত, তাড়াতাড়ি বীর্য বেরিয়ে যায়। যেটুকু বীর্য বেরোয়, তা-ও আগের মতো ঘন থাকে না।
চতুর্থত, একবার বীর্যপাত হয়ে গেলে দ্বিতীয়বার পেনিস খাড়া হতে অনেক সময় লেগে যায়। অনেক কষ্ট করে পেনিস আবার তুলতে হয়।
এখন প্রশ্ন হল, কীভাবে এই ধরনের যৌন সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন? বয়স তো প্রকৃতির নিয়মে বেড়েই যাবে। কিন্তু, কিছু সাধারণ পন্থা আপনাকে অনুসরণ করতে হবে।
বুড়ো বয়সে সব সময় নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করবেন। শরীর তরতাজা থাকলে যৌন জীবনে বার্ধক্য সহজে থাবা বসাতে পারে না। অতিরিক্ত ওজন, ইয়া বড় ভুঁড়ি কখনোই বাঞ্ছনীয় নয়। মুটিয়ে গেলে অন্যান্য সমস্যার পাশাপাশি যৌন সমস্যাও দেখা দেয়। শরীর ঝরঝরে রাখতে হাঁটা, সাইকেল চালানো, জগিং, যোগ ব্যায়াম, সাঁতার কাটা ইত্যাদি করুন। মোট কথা অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলুন। ধূমপান করা একেবারেই চলবে না। মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে তা ছেড়ে দিতে হবে। ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার, মিষ্টি, কোল্ড ড্রিংকস খাওয়া বন্ধ করতে হবে। পরিবর্তে প্রচুর শাক-সবজি, ফল খান।
এই সাধারণ স্বাস্থ্যবিধির পাশাপাশি ওষুধ খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। ব্লাড প্রেশারের ওষুধ, অ্যান্টি-হিস্টামিন, অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট, অ্যাসিড রিফ্লাক্সের ওষুধ সেক্সের ইচ্ছা কমিয়ে দেয়। ফলে, চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে এ সব ওষুধ খাওয়া উচিত।
যদি বৃদ্ধ বয়সে সেক্সের ইচ্ছা ফিরে আসে, পেনিস শক্ত হয় যৌবনকালের মতো এবং বীর্যপতন বিলম্বিত হয়, তা হলে আর কী চাই! অনন্ত আনন্দ উপভোগ করুন।
1 thought on “পুরুষের সঙ্গম ক্ষমতা বাড়ানো কঠিন নয়, জেনে নিন বয়সকে তুড়ি মারার টিপস:-”
same degases