বৈবাহিক সম্পর্কের হাত ধরে দুজন মানুষ একে অপরের কাছাকাছি আসবেন, এটাই তো কাম্য! কিন্তু তার মানে এই নয় যে শারীরিক মিলনই তার একমাত্র মাধ্যম হতে হবে। বরং আরও অনেক ভাবেই একজন মানুষকে চিনে ওঠা যায়। তাই তো মিলনের পাশাপাশি এই ভাবেও কিন্তু একে অপরের সঙ্গে একান্তে সময় কাটানো পারেন ।
১. রাতে খাওয়ার পর মিনিট দুয়েকের হাঁটাহাঁটি:
রাতে খাওয়ার পরে একে অপরের হাত ধরে কিছু সময় গল্প করতে করতে হাঁটার মজাই কিন্তু আলাদা। কারণ এমন গল্পের মাধ্যমেই তো একে অপরের মনের কথা বুঝে ওঠার সুযোগ মেলে। সেই সঙ্গে কর্মব্যস্ত দিনের শেষে দুজনে মিলে এমন একান্তে কিছুটা সময় কাটালে স্ট্রেস এবং দুশ্চিন্তা তো কমে। ফলে নিমেষে মনও ভালো হয়ে যায়। ফলে আনন্দে ভরে ওঠে প্রতিটি সেকেন্ড। তাছাড়া এমন অভ্যাস করলে সম্পর্কের গভীরতাও যে বাড়ে, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে না ।
২. শোয়ার আগে একটু মাসাজ:
ঘুমতে যাওয়ার আগে একে অপরকে একটু ঘাড়ে এবং কাঁধে মাসাজ করে দিলে কিন্তু মন্দ হয় না। কারণ এমনটা করলে সারা দিনের ক্লান্তি তো দূর হয়ই, সেই সঙ্গে একে অপরের কাছে আসার ইচ্ছাও আরও তীব্রতর হয়ে ওঠে। ফলে মিলনের (love) আনন্দ চরমে পৌঁছাতে সময় লাগে না।
৩. মাঝে মাঝে দুষ্টুমি ভরা মেসেজ করুন:
কথাটা শুনতে হয়তো বোকা বোকা লাগতে পারে। কিন্তু বিশ্বাস করুন সম্পর্কের একঘেয়েমি কাটিয়ে উঠতে এমন মেসেজের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। একবার ভাবুন তো আপনার পার্টনারের যখন কাজে চাপে দম বেরনোর মতো অবস্থা, তখন আপনার থেকে এমন মেসেজ পেলে তার মন কতটা আনন্দে ভরে উঠবে! তাই বলি, সম্পর্ককে মজাদার করে তোলার দায়িত্ব কিন্তু আপনাদের দুজনেরই। তাই এমন ধরনের ছোট ছোট সুযোগকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না যেন!
৪. নতুন নতুন পদ বানিয়ে খাওয়ান:
কথায় বলে বাঙালি ছেলেদের মন নাকি থাকে তাদের পেটে। আসলে আমরা এমন খাদ্যরসিক যে মুখরোচর খাবার পেলে আর কিছুই লাগে না। তাই তো সময় সুযোগ পেলে স্বামীর জন্য নিত্য নতুন খাবার তৈরি করুন। মাঝে মাঝে সারপ্রাইজও দিতেও ভুলবেন না যেন, দেখবেন এমনটা করলে জমে উঠবে খেলা। শুধু তাই নয়, আপনাদের মাঝের দুরত্বও দেখবেন কমতে থাকবে।
৫. একসঙ্গে শরীরচর্চা করার অভ্যাস করুন:
পরদিনের জন্য অপেক্ষা না করে, আজ থেকেই দুজনে মিলে একসঙ্গে শুরু করে দিন শরীরচর্চা। তাতে একসঙ্গে অনেকটা সময় কাটানোর সুযোগ তো পাবেনই, সেই সঙ্গে শরীরও ফিট হয়ে উঠবে। শুধু কী তাই! একসঙ্গে এক্সারসাইজ করলে সম্পর্কেও মজাও বাড়বে ষোলো আনা।
৬. কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে দেরি করবেন না যেন!
একে অপরের হাত ধরে জীবনের পথে এগিয়ে যেতে হবে। সেই সঙ্গে জীবনের প্রতিটি বাঁকে একে অপরকে উৎসাহও দিতে হবে। তাই কোনও সময় যদি আপনার পার্টনার আপনার কথা ভেবে বাজার করে দেওয়া, বাসন মাজা বা ঘর পরিষ্কার করার মতো কাজগুলি করে থাকেন, তাহলে তাকে কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুলবেন না যেন! আসলে আপনি তার উদ্যোগকে মান্যতা দিচ্ছেন, এটা দেখে আপনার স্বামীর যে কতটা ভালো লাগবে, তা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।
৭. স্মৃতির সমুদ্রে মাঝে মাঝে ডুব লাগান:
ছুটির দিনে একে অপরের পাশে শুয়ে সেই প্রথম দেখা হওয়ার অভিজ্ঞতা, সেই প্রথম কিস অথবা একে অপরকে মনের কথা জানানোর সেই বিশেষ দিনটির কথা মনে করুন। এমন স্মৃতিচারণের মজাই কিন্তু আলাদা! তাছাড়া এমনটা করলে দেখবেন পুনরায় প্রাণ ফিরে পাবে আপনাদের সম্পর্ক। বাড়বে ভালোবাসাও ।
৮. চোখে চোখে কথা বলুন:
কিছু সময় একে অপরের চোখের দিকে তাকিয়ে থেকে মনের কথা বুঝে যাওয়ার পরিতৃপ্তিই আলাদা। শুধু কী তাই, এই কয়েক মুহূর্ত চোখে চোখে কথা বলার সময় যে ম্যাজিক তৈরি হয়, তা কিন্তু সম্পর্ককে (love) আরও সুন্দর করে তোলে। ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব মুছে যেতে সময় লাগে না।
৯. জাস্ট শুয়ে থাকুন একসঙ্গে:
আসলে কী জানেন একে অপরের স্পর্শ পাওয়াও কিন্তু কম রোমান্টিক নয়। তাই দিনের শেষে কিছুটা সময় একে অপরের পাশে শুয়ে থাকেন। ইচ্ছা হলে পার্টনারকে হাগ করুন। এই সময় কোনও কথা বলার প্রয়োজন নেই, বরং একে অপরের সান্নিধ্যটা উপভোগ করুন, দেখবেন মন্দ লাগবে না।