সোশ্যল মিডিয়া (social media) এখন বঙ্গ জীবনের অঙ্গ। দিনভর সোশ্যাল মিডিয়ায় আপডেটেড থাকাটাই এখন চলতি নিয়ম। কিন্তু তা কখনও কখমও তীব্র প্রভাব ফেলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে, সম্পর্কে, বেঁচে থাকায়। এমনকি যৌন জীবনও সোশ্যাল মিডিয়ার কু-প্রভাব থেকে মুক্ত নেয়। কীভাবে যৌন জীবনকে (sex life) সোশ্যাল মিডিয়ার খারাপ প্রভাব থেকে দূরে রাখবেন?
১) কারফিউ টাইম
আপনারা দু’জনে ঠিক করে নিন দিনের কোন সময়টা আপনাদের কারফিউ টাইম হবে। অর্থাৎ যে সময়টা আপনারা ঘনিষ্ঠ হবেন, তখন কোনও রকম ফোন ধরা চলবে না। সোশ্যাল ওয়ালের কোনও আপডেট চেক করা যাবে না। কোনও মেসেজ বা হোয়াটস্অ্য়াপ এলেও তা এড়িয়ে চলতে হবে। সবচেয়ে ভাল হয়, ফোন বন্ধ করে রাখলে। কিন্তু সকলের ক্ষেত্রে হয়তো তা সম্ভব নয়। তাই কারফিউ টাইম জারি করুন। সোশ্যাল মিডিয়ার কারফিউ। খুব প্রয়োজনীয় দু-একটা নম্বর বিশেষ স্ক্রিন সেভার দিয়ে সেট করুন। যাতে মোবাইলের স্ক্রিন সেভার দেখে আপনি বুঝতে পারেন এমার্জেন্সি। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তও স্যাক্রিফাইস করতে হবে, সে সিগন্যাল আপনার ফোনের স্ক্রিন সেভার যাতে আপনাকে দেয়।
২) শো-অফ করা বন্ধ করুন
সোশ্যাল মিডিয়া অনেকের কাছেই শো-অফের মাধ্যম। সম্পর্ক ভাল রাখতে গেলে সেটা একেবারেই বন্ধ করে দিতে হবে। কারণ আপনার এই অভ্যেস থাকলে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তেও অবচেনতে ভাববেন, কতক্ষণে সোশ্যাল ওয়ালে আপনাদের ঘনিষ্ঠ ছবি আপলোড করবেন, অথবা কোনও স্টেটাস আপডেট দেবেন। সঙ্গীর সঙ্গে কাটানো মুহূর্ত এনজয় করার দিকে মন থাকবে না। মনোচিকিৎসকদের একটা বড় অংশ এই বিষয়ে একমত। শো-অফের আরও একটা সমস্যা হল, হয়তো সোশ্যাল ওয়ালে কোনও দম্পতির কোনও ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি দেখে আপনার ভাল লেগেছে। অবচেতনে পার্টনারকেও সেভাবে ছবি তোলার জন্য জোর করে ফেলবেন আপনি। এতে আপনাদের সম্পর্ক তিক্ত হবে। মনে রাখবেন, প্রত্যেকটা সম্পর্কের গল্পই আলাদা। আর ভার্চুয়াল জগতে বাঁচা যায় না। আনন্দের মুহূর্ত খুঁজে নিন রিয়েল লাইফে।
৩) অফলাইন হলিডে
আসলে সোশ্যাল মিডিয়াকে নিজের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে না ফেলাটা অনেকটাই আপনার নিজের হাতে। শুধু যৌন জীবনে সোশ্যাল মিডিয়ার কু-প্রভাব রয়েছে, তা তো নয়। জীবনের অন্যান্য সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এটা প্রভাব ফেলতে বাধ্য। তাই নিজে সাবধান হওয়াটা জরুরি। কিন্তু কারও ক্ষেত্রে বিষয়টা এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায়, সেখান থেকে নিজে বেরিয়ে আসা সম্ভব নয়। তাই অফলাইন হলিডে-র সাহায্য নিতে পারেন। অর্থাৎ বেড়াতে যান পার্টনারের সঙ্গে, কিন্তু সঙ্গে কোনও গ্যাজেট নেবেন না। আবারও এটা কতটা মেনটেন করতে পারবেন, তা নির্ভর করবে আপনার উপরেই। যদি একান্তই গ্যাজেট ছাড়া বেড়াতে যাওয়া সম্ভব না হয়, তারও উপায় রয়েছে। কিছু কিছু হোটেল গ্যাজেট নিয়ে চেক-ইন করতে দেয় না। আপনারও তেমন হোটেলই বেছে নিন। তাহলে অন্তত ছুটির মুহূর্তটা একান্ত কাটাতে পারবেন। আর ফিরে এসে আমাদের ধন্যবাদ জানাতে ভুলবেন না…।