সেক্স (sex)। শব্দটা শুনলেই আমরা বাঙালি জাতি কি ভাবি বলুন তো? জলে নামব। কিন্তু চুল ভেজাব না। বা বাংলা ব্যান্ড ‘চন্দ্রবিন্দু’র ভাষায় ‘রণে, বনে ইউনিয়নে পাজামাতে গিঁট্টু’। ইচ্ছে ষোলোআনা। তবে সোজাসুজি কথা বলতে গেলেই কান লাল। কেন বাপু? এ তো খুব স্বাভাবিক ঘটনা। স্বাভাবিক অভ্যেস। তাহলে এত লজ্জা কীসের? অনেক সময় তো দাম্পত্য জীবনেও সমস্যা শুরু হয় এই লজ্জার কারণেই। তা আপনার পার্টনার কি ‘মোবাইলে ঝিংকু ছবি আড়াল হলেই গিন্নি’…? নাকি সেই রোম্যান্স বলুন বা সেক্স পুরোমাত্রায় বজায় রয়েছে জীবনে? রুটিন স্পাইসি তো?
দেখুন, যৌনতা স্বাভাবিক, এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু যে-কোনও কাজেরই একটা সীমা থাকা তো দরকার। ধরুন, আপনি খেতে ভালবাসেন। তা বলে কি যত বার খুশি তত বার খেতে পারেন? নাকি সেটা আপনার শরীরের পক্ষে ভাল? তেমনই যৌনতা আপনার পছন্দের হতেই পারে। কিন্তু তারও একটা সীমা থাকা দরকার। আবার কারও ক্ষেত্রে যৌনতা ততটা পছন্দের অভ্যেস নয়। তা নিয়ে পার্টনারের সঙ্গে সমস্যাও হতে পারে। সে ক্ষেত্রেও উপযুক্ত সমাধান খুঁজতে হবে তো…
সপ্তাহে কত বার?
অবিবাহিত সম্পর্কে বছরে গড়ে ৫৪ বার মিলিত হন পার্টনাররা (partner)। অর্থাৎ সপ্তাহে একবার। কিন্তু বিবাহিতদের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যা ৫১। তবে এ নেহাতই গড় হিসেব। স্থান, কাল, পাত্রের নিরিখে ব্যতিক্রম সব কিছুতেই থাকে।
সুখের খোঁজ
সেক্সের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে সুখ। পার্টনারের সঙ্গে ওয়েভ লেংথ না মিললে অনেক সময়ই যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে অস্বস্তি হয়। আবার অনেকের ক্ষেত্রে মানসিক সুখ নয়। শারীরিক চাহিদার দিকটাই বেশি গুরুত্ব পায়। সপ্তাহে একবার মিলিত হলে সেই জুটিরা অন্যদের থেকে অপেক্ষাকৃত বেশি সুখী। অন্যদিকে যাঁরা সপ্তাহে দুই, তিন বা তার বেশিবার যৌন মিলনে অভ্যস্ত তাঁদের মানসিক সুখ অন্যদের তুলনায় কম।
সেক্সলেস ম্যারেজ
গবেষকরা জানাচ্ছেন, সপ্তাহে একবার সেক্স করা সব দিক থেকে ভাল। কিন্তু যাঁদের সেই সুযোগ হয় না, তাঁরা কি খারাপ থাকেন? গবেষকদের মতে, সপ্তাহে একদিনও যৌন মিলন না হওয়া পার্টনাররা তুলনায় কম সুখী। অনেক দম্পতির ক্ষেত্রেও এমনটা দেখা যায়। সেক্সলেস ম্যারেজের ভুরি ভুরি উদাহরণ রয়েছে। তার কারণ কখনও দূরত্ব, কখনও মনোমালিন্য, কখনও বা অন্য কিছু।
অসুস্থ যৌন মিলন
অনেক জুটির ক্ষেত্রেই মাসে হয়তো একবারের বেশি যৌন মিলন (sexual relation) সম্ভব হয় না। তা হলে কি তাঁরা অসুস্থ? না! একেবারেই ভুল ধারণা। বরং এই অভ্যেসেও ভাল থাকতে পারেন দম্পতিরা। তবে অনেক ক্ষেত্রে আপনার ভালবাসার মানুষটির সঙ্গে সব কিছু শেয়ার করতে পারলেও শারীরিক মিলনের ক্ষেত্রে অনীহা দেখা দিতে পারে। সেটাই বার বার হতে থাকলে তা কিন্তু সমস্যার। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া জরুরি।
ব্যাড সেক্স
যৌনতা কখনও কখনও স্বাভাবিক জীবনে সমস্যাও তৈরি করে। অত্যধিক যৌন প্রবণতা, ঘন ঘন পার্টনার বদল ডেকে আনতে পারে বড় ধরনের বিপদ। গবেষকদের ভাষায় যা ‘ব্যাড সেক্স’। তাই সুস্থ যৌন সম্পর্কে থাকুন। ভাল থাকুন নিজের শর্তে।