দুই শরীরের মিলন যেমন প্রয়োজন, তেমনই জরুরি ‘পিলো টক’ (Pillow talk)। যৌনতার থেকেও অন্তরঙ্গ এই যৌনতা পরবর্তী প্রক্রিয়া।
১) যৌনতার ফলে আমাদের শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে অক্সিটোসিন (Oxytocin) নির্গত হয়। একে ‘কাডল হরমোন’ও বলা হয়ে থাকে। এই সময় মানুষ একটু বেশিই নির্ভরতা খোঁজে পাশে শুয়ে থাকা মানুষটির কাছ থেকে। কথা বলতে বলতে আলতো ছোঁয়ায় মেলে শান্তি।
২) শরীরের আগল খোলার পর মানুষের মনের কথাও বারিধারার মতো ঝরে পড়তে চায় ভালবাসার বিছানায়। এমন অনেক কথা, যা সাধারণ পরিস্থিতিতে বলে ওঠা যায় না। সঙ্গীকে সেই গোপন কথা জানার অধিকার দেওয়ার মাধ্যমে সম্পর্কের ভিত আরও পোক্ত হয়।
৩) যৌনতার চূড়ান্ত সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর সারা শরীরে যখন শীতলতা ছড়িয়ে পরে। অনেকেই ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। তবে মিলনের পর সেই সম্পর্কে আলোচনা করা প্রয়োজন। সঙ্গীকে কমপ্লিমেন্ট দিলে তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়ে। বিশেষ করে পুরুষদের ক্ষেত্রে।
৪) যৌন মিলনের পর পরিপূর্ণতার অনুভূতি হয়। মনের সেই প্রফুল্লতা ‘পিলো টক’-এ প্রকাশ পায়। ছোটখাটো মজার কথা, মশকরা সেই মুহূর্তকে যৌনতার থেকেও বেশি উপভোগ্য করে তোলে।
৫) ‘পিলো টক’-এর সময় খুব বেশি যে কথা বলতে হবে তার কোনও মানে নেই। ঠোঁটের কোনের সামান্য হাসি এবং ভালবাসার আলতো ছোঁয়াতেও মনের প্রসন্নতা বুঝিয়ে দেওয়া যায়। এমনটা করলে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও মধুর হয়ে ওঠে।