আগ্রহ আছে, ইচ্ছে আছে আর ভালবাসাও আছে অভাব শুধু এনার্জির (energy)। শুধু বিছানায় কাছাকাছি এলে শরীরে আর তেমন জুত পাচ্ছেন না আর অভাব দেখা দিচ্ছে এনার্জির, তাই তো? হতেও পারে। সারাদিন ঘর আর বাইরে সামলে, হাজারটা দায়িত্ব পালন করে কি আর চট করে এসব হয়। তবে চিন্তার কিছু নেই। সেক্সুয়াল (Sexual) স্ট্যামিনা (stamina) বাড়িয়ে তোলা এমন কিছু কঠিন ব্যাপার নয়। কয়েকটি সহজ পন্থা অবলম্বন করলেই এই ইচ্ছে বাড়িয়ে তোলা সম্ভব। অনেক সময়ই আমরা এনার্জির অভাব বোধ করি। আসুন, দেরি না করে দেখে নেওয়া যাক, আপনার এই সমস্যা দূর করতে ঠিক কী-কী করা উচিত।
প্রথমেই নজর দিন আপনার ডায়েটে–
এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ শুধু যৌন মিলনের জন্য নয়, আপনার ডায়েট এমন হওয়া উচিত যা আপনাকে সারা দিন সব কাজে এনার্জি দেবে। আপনার ডায়েটে থাকা উচিত ডাল, রসালো ফল (এর মধ্যে আছে ফলিক অ্যাসিড), দুধ, দই ও সামুদ্রিক মাছ (এর মধ্যে আছে ক্যালসিয়াম), ডিম (ভিটামিন ডি), মাছ, মাংস ও সবুজ শাক সব্জি (আয়রন) ইত্যাদি। এগুলো প্রতিদিনের খাবারে যোগ করুন। প্রয়োজনে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন। হতে পারে বিশেষ কোনও ভিটামিন বা খনিজের অভাবে আপনি ওই বিশেষ সময়ে কোনও এনার্জি পাচ্ছেন না।
এক্সারসাইজ করতেই হবে–
যদি ভাবেন এক্সারসাইজ করে তো ক্লান্ত হয়ে যাবেন, তা হলে বাড়তি এনার্জি আসবে কোথা থেকে? আপনার এই ধারণা একেবারেই ভুল। এক্সারসাইজ বা ব্যায়াম করলে কেউ ক্লান্ত হয় না। বরং এটি আপনার শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে আপনাকে আরও চনমনে ও প্রাণবন্ত করে তোলে। সকালে হাল্কা এক্সারসাইজের প্রভাব আপনি রাত্রে বুঝতে পারবেন। জিমে যেতে অনীহা হলে সকাল-বিকেল একটু হাঁটুন বা বাড়িতেই প্রাণায়াম বা যোগ ব্যায়াম করুন। মোদ্দা কথা হল, খামোখা শরীরকে আয়েসি করে তুলবেন না।
মাস্টারবেট করা দোষের নয়–
একদমই নয়। মিলনের আগে এই ট্রিক একবার ট্রাই করে দেখুন না। এর সঙ্গে-সঙ্গে ফোরপ্লে করতেও ভুলবেন না। আপনি আর আপনার পার্টনার দু’জনেই যখন মিলনে ইচ্ছুক, তখন সেটা সাত তাড়াতাড়ি কোনওমতে সম্পন্ন না করে বরং একটা আবহ তৈরি করুন। ধীরে-ধীরে এগোন, এতে আখেরে আপনারই লাভ।
মনে রাখবেন–
১) অতিরিক্ত ধূমপান বা মদ্যপানে আপনার আসক্তি থাকলে সেটা থেকে আপনাকে ধীরে-ধীরে বেরিয়ে আসতে হবে। এই দুটোই যৌন জীবনের উপর প্রভাব ফেলে।
২) যদিও এটা বলা সহজ কিন্তু করা বেশ কঠিন, তা-ও বলছি যতটা সম্ভব নিজেকে চাপমুক্ত রাখুন। স্ট্রেস হচ্ছে এমন একটি বিষম বস্তু, যা আপনার যৌন জীবন ছারখার করে দিতে পারে। ব্যক্তিগত বা পেশাদার জীবনে যদিও বা কোনও সমস্যা থাকে, তা হলে সেটা অন্তত কয়েক ঘণ্টার জন্য দূরে সরিয়ে রাখুন।