লিঙ্গ শিথিলতা জনিত সমস্যা খুব-ই সাধারণ। ভয়, হীনমন্যতা, লজ্জা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে এসব সমস্যা লুকিয়ে রেখে হতাশায় জীবন যাপন করেন অগণিত পুরুষ। আবার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াকেও অযাচিত মনে করেন অনেকে। মানসিকভাবে শক্তিশালী হয়ে সমস্ত ভয়কে জয় করুন। উপরে উল্লিখিত ঘরোয়া নিয়ম কানুন মেনে এবং শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে সহজেই লিঙ্গ শিথিলতা জনিত সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। হতাশা ঝেড়ে ফেলে চেষ্টা চালিয়ে যান; সফলতা ধরা দেবেই, দেবে।
পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্য ঠিক থাকার পিছনে মানসিক অবস্থার প্রভাব উল্লেখযোগ্য। শতকরা ৯০% মানুষ এই বিষয়টি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন, বিষয়টি চেপে যান এবং লজ্জায় সঙ্গীর সাথে আলোচনা করেন না। জ্বর হলে আপনি যেমন ডাক্তারের কাছে যান, সঙ্গীর সেবা শুশ্রূষা নেন, তেমনি এই ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রেও আপনাকে কথা বলতে হবে; আপনার সঙ্গীর সাথেই কথা বলতে হবে।
লিঙ্গ শিথিলতা সমস্যা থেকে পরিত্রানের জন্য কিছু নির্দেশনাঃ
- নিয়মিত ব্যায়াম ও কায়িক পরিশ্রম করতে হবে;
- ধূমপান, মদ্যপান, তামাক এড়িয়ে চলতে হবে;
- প্রচুর পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে;
- ওজন, রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে;
- হীনমন্যতা, দুশ্চিন্তা, হতাশা, ভয় ঝেড়ে ফেলতে হবে;
- পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে, রাতে ৭-৮ ঘন্টা;
- তরমুজ, বেদানা বা ডালিমের জুস খুবই উপকারী;
- কাছের মানুষের সাথে বিষয়টি শেয়ার করুন।
লিঙ্গ শিথিলতা সমস্যার সমাধানের জন্য অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতিরেকে অনেকেই ওষুধ সেবন করে। যা অস্থায়ীভাবে সেক্স বৃদ্ধি বা লিঙ্গকে দৃঢ় করে তুললেও; পরবর্তীতে সেই সমস্যা স্থায়ীভাবে প্রকট আকার ধারণ করে। এই ধরণের ঔষধের তাৎক্ষণিক ও সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হল মাথাব্যথা, রক্তচাপ হ্রাস, মাথা ঝিমঝিম করা, চোখে মুখে লাল ভাব, হজমের সমস্যা, নাক বন্ধ হয়ে যায়, কারও কারও দৃষ্টি সমস্যা দেখা দেয়। ধীরে ধীরে এক সময় লিভারের ক্ষতি এবং যৌন ক্ষমতা নি:শেষ হয়ে যায়। এসব ঔষধের প্রভাবে পুরুষদের যৌন জীবন ও স্বাস্থ্য স্থায়ীভাবে হুমকির মুখে পড়তে পারে। তবে ভয়ের কোন কারণ নেই। আগে লিঙ্গ শিথিলতা রোগের একটিই চিকিৎসা ছিল আর তা হল, অপারেশনের মাধ্যমে লিঙ্গের মধ্যে প্রোসথেটিক ডিভাইস স্থাপন করা। তবে এখন ওষুধের সাহায্যেও এ রোগের চিকিৎসা করা যায়। যদি ওষুধের সাহায্যে চিকিৎসা না হয় তখনই অপারেশন করা হয়। অভিজ্ঞ ও রেজিস্টার্ড চিকিৎসকই নির্ধারণ করবে ওষুধ না সার্জারি প্রয়োজন।