ভালবাসতে জানেন? না! এই প্রশ্নের সহজ উত্তর যে হয় না, তা আমরা জানি। আসলে ভালবাসার সংজ্ঞা তো এক এক জনের কাছে এক এক রকম। তাই এর কোনও নির্দিষ্ট ফর্মুলা হয় না। আর ভালবাসার সঙ্গেই ওতপ্রোত ভাবে জড়িত শরীরী সম্পর্ক। অনেকে বলেন, শরীরী সম্পর্ক ছাড়া নাকি ভালবাসা হয় না। নিউ জেনারেশনের একটা বড় অংশ প্লেটোনিক লভে ঠিক বিশ্বাসী নয়। তাই ভালবাসতে জানলে, সঙ্গীর শরীরকেও ভালবেসে জাগিয়ে তুলতে হবে বৈকি!
শারীরিক মিলন একটা প্রসেস। চরম মুহূর্তে পৌঁছনোর আগে বেশ কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে যেতে হয়। আপনিও হয়তো সে সবের সাক্ষী। আদর করে জাগিয়ে তুলতে হয় শরীর। পুরুষ সঙ্গীর শরীরের কোন কোন অংশে ছুঁয়ে দিলে তিনি উত্তেজিত হবেন, তা হয়তো আপনি জানেন। কিন্তু নিজের শরীর সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল থাকা উচিত। আপনার কোন কোন অঙ্গে স্পর্শ করলেই যৌন (sex) অনুভূতি জেগে ওঠে, তা জানেন কি? বেশ কিছু গবেষণার উপর ভিত্তি করে আমরা কিছু ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করলাম। হতেও পারে, এর কোনও কোনওটার সঙ্গে হয়তো আপনি নিজের মিল খুঁজে পাবেন।
ঘাড়-
বহু গবেষণায় প্রকাশ মহিলাদের (woman) ঘাড় অত্যন্ত অনুভূতিপ্রবণ অঙ্গ (erogenous zones)। সঠিক ভাবে সঙ্গী স্পর্শ করলে যৌন অনুভূতি সৃষ্টি হতে বাধ্য।
স্তনবৃন্ত-
শারীরিক মিলনে স্তনবৃন্তের ভূমিকা অপরিসীম। নানা ভাবে আদর করে শরীর জাগিয়ে তোলার জন্য এই অঙ্গটি অপরিহার্য। এই সংবেদনশীল অঙ্গ যৌন ক্রীড়াতে সক্রিয় ভূমিকা নেয়।
কান-
মেয়েদের কান বা কানের লতি খুবই সংবেদনশীল। আদরের সময় আপনার সঙ্গী যদি পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে প্রথমেই কানে চুমু খান, তা যৌন উত্তেজনা নাকি কয়েকগুণ বাড়িতে দিতে পারে নিমেষেই।
ঠোঁট-
চুমু দিয়েই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আদরের সূত্রপাত ঘটে। আর চুমুর তালিকায় প্রথমেই আসে ঠোঁট। চুমু স্পর্শ করে জিভকেও। আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন, প্যাশনেট চুমুর ফলে আপনার ঠোঁট যৌন সুখের অনুভূতির ইঙ্গিত পাঠাচ্ছে মস্তিষ্কে।
যৌনাঙ্গ-
শারীরিক মিলনের সময় আপনি যদি ফোর প্লেতে অভ্যস্ত হন, তাহলে নিশ্চয়ই জানেন, যৌনাঙ্গের স্পর্শ সাধারণত সবথেকে পরে আসে। আদরের মাধ্যমে শরীরকে জাগিয়ে তোলার পর চরম সুখের সন্ধানে যান সকলে। কিন্তু মহিলাদের ক্ষেত্রে যৌনাঙ্গও অত্যন্ত স্পর্শকাতর অঙ্গ। ফলে সঠিক ভাবে ছুঁতে পারলে, এর মাধ্যমেও যৌন অনুভূতি জাগে।