অনেক পুরুষের আজ এই একই সমস্যা। বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হ্রাস। সমীক্ষা বলছে, প্রতি ছ’জন পুরুষের মধ্যে একজনের এই সমস্যা রয়েছে। প্রায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বন্ধ্যাত্বের ক্ষেত্রে দায়ী পুরুষরাই। যদিও বন্ধ্যাত্ব চিরস্থায়ী নয়। এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, নিষেকের জন্য শুক্রাণুর সংখ্যা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সংখ্যার উপর নির্ভর করে বীর্যের গুণাগুণ। কারণ এসবের সঙ্গে জড়িত আপনার যৌনজীবন। তা সুখকর করার চাবিকাঠিও আপনার হাতেই। যাঁরা এই ধরনের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা চিন্তিত হবেন না। স্পার্ম কাউন্ট বাড়ানোর বেশ কয়েকটি সহজ এবং প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
১) একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শরীরচর্চা করলে ও ওজন কমালে শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ে। ২০১৭ সালে একটা সমীক্ষায় ধরা পড়ে দিনে ৫০ মিনিট যদি অ্যাক্রোবিক করা যায়, তাহলে তা শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে। তবে টানা ১৬ সপ্তাহ এভাবে শরীরচর্চা করলে তবেই মিলবে ফল। সঙ্গে অবশ্যই চাই পর্যাপ্ত ঘুম।
২) অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা আপনাকে যেমন মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করে, তেমনই শরীরের পক্ষেও তা ক্ষতিকর। এতে দেহের এনার্জি নষ্ট হয়। শুক্রাণু তৈরির ক্ষমতা কমে যায়। তাই স্বাস্থ্যকর খাবার খান, শরীরচর্চা করুন এবং যা যা করলে মন ভাল থাকে, সেসব কাজ করুন। তাহলে অনেকটা দুশ্চিন্তা মুক্ত হওয়া সম্ভব। এসবেও কাজ না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৩) ধূমপান যে স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর, তা নিশ্চয়ই নতুন করে ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই। সঙ্গীকে চরমসুখ দিতে চাইলে সিগারেটকে বিদায় জানান। কারণ এটি স্পার্ম কাউন্ট কমিয়ে দেয়। ২০১৬ সালের একটি গবেষণা বলছে, যাঁরা অতিরিক্ত ধূমপান করেন, তাঁদের স্পার্ম কাউন্ট ধূমপান না করা ব্যক্তিদের তুলনায় অনেকটাই কম।
৪) ধূমপানের মতোই মাদক সেবন এবং মদ্যপানও স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। লিভারের ক্ষতি, ক্যানসারের মতো রোগের আঁতুরঘর তো বটেই, মদ্যপান খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে আপনার যৌনজীবনেও। কারণ নিয়মিত মাদক সেবন বা মদ খেলে স্পার্ম কাউন্ট কমে। বীর্যের গুণাগুণও খারাপ করে দেয়। এমনকী, আপনাকে নপুংষকেও পরিণত করতে পারে।
৫) গবেষণা বলছে, ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম ট্যাবল্যাট বা ক্যালসিয়াম-যুক্ত খাবার শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে। তবে নিজে হুটহাট করে কোনও ট্যাবল্যাট খেতে যাবেন না। চিকিৎসককে নিজের সমস্যার কথা জানিয়ে তবেই ট্যাবল্যাট নিন।