প্রোস্টেট এবং অণ্ডকোষের ক্যান্সারের তুলনায় পুরুষাঙ্গের ক্যান্সারকে বিরলই বলা চলে। অন্যান্য ক্যান্সারের মতো এটি সচরাচর হয় না। তাছাড়াও পুরুষেরা আক্রান্ত হলে এটা নিয়ে খোলামেলা কথা বলতে খুব বিব্রত বোধ করে। ফলে এটা আক্রান্তকে বিচ্ছিন্ন ও বিষণ্ণ করে তুলতে পারে। এ কারণেই এ ব্যাপারে পুরুষদের সচেতন হওয়া জরুরি। এর লক্ষণ ও উপসর্গগুলো সম্পর্কে জানা উচিৎ। চিন্তিত না হয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে আশঙ্কা অনেকখানি কেটে যায়।’
প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসকরা এটিকে শনাক্ত করতে ব্যর্থ হতে পারেন অথবা যৌনরোগ বা ত্বকের সমস্যা বলে ভুল করতে পারেন। আর এই ভুলের কারণেই অনেক সময় সঠিক চিকিৎসা নিতে দেরি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত করতে পারলে পুরুষাঙ্গের ক্যান্সার সারিয়ে তোলা যায়। এর অপারেশন এখন সম্ভব। আর পুরুষাঙ্গ একদম অক্ষত রেখেই ক্যান্সার সারিয়ে তোলা সম্ভব।’ তবে এ ক্যান্সারের সঠিক কারণ এখনো শনাক্ত করা যায়নি। তারপরও সম্ভাব্য কয়েকটি কারণ নির্দেশ করেছেন গবেষকরা।
পুরুষাঙ্গে ক্যান্সারের কারণ:
হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি):
যৌনাঙ্গের আঁচিল/জড়ুলে এইচপিভি আক্রান্ত হলে পুরুষাঙ্গে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা ছয় গুন বাড়ে।
ধূমপান:
ধূমপায়ী পুরুষদের এই ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
পুরুষাঙ্গে ক্যান্সারের উপসর্গ:
- পুরুষাঙ্গের গায়ে ব্যথাহীন পিণ্ড বা ঘা যা সারে না।
- পুরুষাঙ্গ দিয়ে রক্ত পড়া।
- সামনের ত্বকের ঠিক পেছনে লাল ফুসকুড়ি ।
- পুরুষাঙ্গের রঙ ধূসর হয়ে যাওয়া ।
- সামনের ত্বক টেনে পেছনে আনতে কষ্ট হওয়া ।
- সামনে উন্মুক্ত অংশ থেকে অস্বাভাবিক গন্ধ বের হওয়া ।
- ত্বকের রঙ অস্বাভাবিক হয়ে যাওয়া ।
- কুঁচকিতে রক্তরসের মতো ফেনা জমা হওয়া ।