কারণ ও লক্ষণসমুহঃ
যৌবনকালে এ রোগটি অনেকের হয়ে থাকে। স্বপ্নদোষ হলে শুক্রক্ষরণ ঘটে থাকে। রোগী স্বপ্ন দেখে এবং স্বপ্নের মধ্যে অর্থাৎ ঘুমোতে ঘুমোতে শুক্রক্ষরণ ঘটে যায়। এভাবে কিছুদিন চললে রোগী দুর্বল ও ক্ষীণ হয়ে পড়ে।
তখন কোনো নারীকে স্পর্শ করলেই রেতঃপাত হয়ে যায়। রোগটি মারাত্মক। রোগীর শিরঃপীড়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। চোখের কোলে কালি পড়া, চোখ বসে যাওয়া, ধ্বজভঙ্গ, যক্ষ্মাকাশ প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দেয়। কালবিলম্ব না করে চিকিৎসা করানো দরকার। ব্যাধিটা পুরনো হয়ে গেলে তখন সারানো সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়সাধ্য হয়ে পড়বে। রোগীর জীবন হয়ে উঠবে দুর্বিষহ।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসাঃ
এই রোগ দেখা দিলে প্রথমে মুখেই চিকিৎসা করানো দরকার। মদ্যপান, উত্তেজক খাদ্যগ্রহণ প্রভৃতি বন্ধ করতে হবে। কুসংসর্গে মেশা, হস্তমৈথুন প্রভৃতি বর্জন করতে হবে।
প্রাতে ডুবে স্নান করতে হবে ঠাণ্ডা জলে। সহজপ্রাচ্য ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। সকালে-সন্ধ্যায় ভ্রমণ এ রোগের পক্ষে উপকারী।