আমাদের সমাজে অনেক নারীই তাদের যৌনতার বিষয়টি পুরুপুরি পুরুষের উপর ছেড়ে দেন যেন এতে তাদের কোনো ভূমিকাই নেই। অথচ যৌন মিলনের বিষয়টি একজন পুরুষ আর একজন নারীর দুটি আত্মার সংমিলন। এখানে দু’জনেরই ভুমিকা রয়েছে কারণ এটা একার কোনো বিষয় নয়। তাই নারীদেরও হয়ে উঠা উচিত যৌন সচেতন এবং আত্মবিশ্বাসী। তার জন্য রয়েছে কিছু টিপস এবং ট্রিকস।
সুন্দর অন্তঃবাস ব্যবহার করুন :-
আমাদের দেশের মেয়রা অন্তঃবাসকে অত একটা গুরত্ব দেয়না। বেশিরভাগ নারী মনে করে এটাতো জামা/শাড়ীর নিচে থাকবে অতএব বেশি টাকা দিয়ে সুন্দর ব্রা/আন্ডার গার্মেন্টস খরিদ করার দরকার কি? মাঝে মাঝে লক্ষ্য করা যায় হলুদ জামার নিচে কেউ কালো অন্তঃবাস পরে বেরিয়ে পড়েছেন যা সহজেই অন্যের চোখে দৃশ্যমান হয়ে একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। এবার আসুন ঘরে! স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে বাহ্যিক পরিদেয় কাপড়ের সাথে সাথে অন্তঃবাসের গুরত্ব অপরিসীম। একজন নারীর অন্তঃবাস হতে পারে তার স্বামীর ‘টার্ন অন সুইচ’। নারী অনুভতির অনুরননে ব্যকুল হলেও পুরুষ ভিজ্যুয়ালাইজেশানে বেশি কর্মঠ। নারীদের বলে রাখি – মিলনের প্রস্তুতি হিসেবে নিজ থেকে কাপড় খুলে বসে থাকবেন না। আপনার পুরুষকে পিপাসার্ত করুন – তাকে বস্ত্রহরন উপভোগ করতে দিন। বস্ত্রহরনে সেক্সি সুন্দর অন্তঃবাস পুরুষ শরীরে আগুন জ্বালে।
সুন্দর জামা কাপড়ে পরিপাটি থাকুন :-
কোন একটি বিশেষ অনুষ্ঠান, বিশেষ দিন কিংবা বিশেষ মুহুর্তের জন্য কেন অপেক্ষা করবেন? আপনি হয়তো লক্ষ্য করেছেন সাজগোজ করে থাকলে আপনার প্রিয়জন আপনার দিকে বেশি নজর দেয়। একদম জমকালো মেকাপ করে সারাদিন বসে থাকতে বলছি না – সামান্য চুল আচড়ে রাখা কিংবা ঠোটে হালকা লিপিষ্টিক এর সাথে আয়রন করা জামা আপনাকে ঘরোয়া পরিবেশে আকর্ষনীয় করে তুলতে পারে। আপনার যেসকল জামা আপনাকে আনকমফোর্টএ্যবল কিংবা আনএট্রাক্টিভ করে বলে মনে হয় তা ফেলে দিন (গরীবকে দিয়ে দিন) – শুধুমাত্র আপনার পছন্দসই কাপড়ই ভেতর থেকে আপনাকে মানসিক শক্তিশালী করতে সক্ষম! যেসব রঙ আপনার গায়ের রংয়ের সাথে যায় শুধু সে রকম কাপড় কিনুন। কাপড় পছন্দের ক্ষেতে কি কাপড় কিনছেন তাও লক্ষ্য রাখার বিষয়; কারন আপনি নিশ্চয় গ্রীষ্মে সিল্ক জামা পরে ঘুরবেন না।
নিজ সম্পর্কে পুর্ন আত্মবিশ্বাসী হউন :-
নারী পুরুষ নির্বিশেষে আমাদের দেশে মানুষের শারীরিক আত্মবিশ্বাস অনেক কম। এর প্রধান (হয়তো একমাত্রও বলা যায়) যৌনতা এবং শরীর সম্পর্কে আমাদের অজ্ঞতা। ছোট্র একটি উদাহরনঃ আমাদের পাড়ার এক দাদা (তিনি গ্রেজুয়েট ছিলেন!) বিয়ের পর পর প্রায় তার বউকে ডিভোর্স দেবার ঘোষণা দিয়ে দিয়েছিলেন – কারন ছিল তার স্ত্রীর বাম স্তন ডান স্তন থেকে ছোট! এরকম একটি প্রাইভেট বিষয় পাড়ায় পাড়ায় রটে গেল! কি লজ্জার বিষয়। অথচ সত্য হল পৃথিবীর প্রায় ৫৫% নারীর দুইটি স্তন একেবারে সমান আকার/গঠনের নয়। কারো কারো স্তন আকারের পার্থক্য এত কম যে চোখে পড়েনা; আর কারো একটু বেশি যা সহজে দৃষ্টিগোচর হয়। স্তনের আকারের এই বিষয়টি নারীরাও জানেন না বলে নিজ থেকে হীনমন্যতায় ভোগেন তারা। এ রকম আরো অসংখ্য স্বাভাবিক বিষয় আছে যা ভেবে আমরা অহেতুক চিন্তিত হই।
অনেকে আবার গায়ের রঙ কিংবা উচ্চতা ইত্যাদি নিয়ে নিজের মধ্যে একপ্রকার নেগেটিভ ধারনা পোষেন। আরে ভাই জগতের সব মানুষ স্বয়ংসম্পুর্ন নয়। কারো উচ্চতা ভাল তো গায়ের রং শ্যামলা। কেউ দেখতে সুন্দর তো হাসেঁর মত কর্কশ গলা । আবার যাদের শাররীক সব গুন ঠিক আছে তারা হয় চরিত্রহীন কিংবা যৌন অসমর্থ! তাই সব কথার শেষ কথা – বিধাতা যাকে যা দিয়েছেন তা হিসেব করেই দিয়েছেন। আপনার যতটা আছে তাই আপনার হাতিয়ার – গুটিয়ে নয় চুটিয়ে বাঁচুন। আত্মবিশ্বাসী হউন।