সুস্থ সম্পর্কের ভিত্তি হল বিশ্বাস। যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রেই তা প্রযোজ্য। আর সেই বিশ্বাসে একবার চিড় ধরলে সেখান থেকে নানা মানসিক সমস্যা, ডিপ্রেশন আসতে বাধ্য। সম্পর্কের অবিশ্বাস আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে আসে আরও নানা শারীরিক সমস্যাকে। যে সমস্যার কোনও সমাধান হয় না। নিজের অজান্তে কোনও ভুল করলে কিংবা প্রয়োজনীয় কোনও কিছু হাতের সামনে খুঁজে না পেলে সন্দেহ গিয়ে পড়ে অন্য একজনের উপর। আর এতেই নষ্ট হয় সম্পর্ক। শুধু তাই নয় সেই মানসিক অশান্তি নিয়ে এগিয়ে চলাও মুশকিল হয়। এমন সমস্যা কি আপনার ক্ষেত্রেও হচ্ছে? জানুন কীভাবে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করবেন।
নিজের জিনিস গুছিয়ে রাখুন- নিজের জিনিস অন্যের হাতে না দিয়ে নিজেই গুছিয়ে রাখার অভ্যেস করুন। কোথায় কি রাখছেন তা লিস্ট করে রাখুন। যদি মনে হয় প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছু জিনিস রয়েছে তাহলে প্রথমেই তা সরিয়ে দিন।
অকারণে দেষারোপ নয়- কোনও কিছু খুঁজে না পেলে অহেতুক বাড়ির কাজের লোকের উপর দোষ চাপাবেন না। এতে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক শুধু খারাপ হয় তা নয় এই অভ্যেসটাও খারাপ। একজনের উপর সন্দেহ শুরু হলে অন্যের উপর তা যেতেও বেশিদিন সময় লাগে না।
প্রতিবেশীকে সন্দেহ নয়- সামান্য গাছের ফল বা ফুল চুরিকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীর সঙ্গে অশান্তি না করাই শ্রেয়। এতে আপনার হীন মানসিকতারই প্রকাশ পায়। অনেকেই প্রতিবেশীর উপর অযথা চুরির অভিযোগ চাপান। সাবধান, না জেনে কোনও মানুষকেই এভাবে অপমান করবেন না।
সঠিক কারণ জেনে তবেই নিন্দে করুন- লোকের বাড়ির রান্নাঘরে উঁকি মারতে কিংবা কারোর সম্পর্কে নিন্দা করতে আমাদের মোটেই খারাপ লাগে না। বরং নিন্দা করার জন্য আজকাল মানুষ ব্যস্ততার ফাঁকেও আলাদা করে সময় বের করে নেন। আর এই অভ্যেস খুব খারাপ। না জেনে অকারণে কাউকে কখনও দোষারোপ করবেন না। চুরির অপরাধ চাপিয়ে দেওয়া তো আরও বেশি অপরাধ। এতে কিন্তু মানসিক ভাবে ওই ব্যক্তি ভেঙে পড়েন। এমনকী হয়ে উঠতে পারেন প্রতিহিংসা পরায়ণও।
মতাদর্শের তফাৎ- আর্থিক হোক, রাজনৈতিক হোক, যদি পরস্পরের সঙ্গে মতাদর্শের তফাৎ হয় তাহলে পারস্পরিক সহাবস্থানের জন্য একটা মধ্যপন্থা খুঁজে বের করা দরকার। তাই প্রথম থেকেই চেষ্টা করুন একটা মাঝামাঝি সমাধান আবিষ্কার করার। এতে অযথা অশান্তি কিংবা অবিশ্বাস কোনওটাই থাকবে না।