সেক্স নিয়ে এখনও যতই লুকোচুরি চলুক না কেন, ভালোবাসায় যৌনতা বাধ্যতামূলক। প্রেমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলেই ধরা যায় সেক্সকে। সুস্থ এবং সফল সম্পর্কের চাবিকাঠি কিন্তু হল সেক্স। সেই সঙ্গে যুগলের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবেও প্রাধান্য পায় সেক্স। শরীর সুস্থ রাখতেই নিয়মিত যৌনতার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এছাড়াও সহবাস আমাদের শরীর ও মনকে আরাম দেয়। তৃপ্ত করে। তবে বেশিরভাগ মানুষই কিন্তু সেক্স নিয়ে সেইমতো সচেতন নন। আর তাই সবার জন্য আজ রইল কিছু টিপস। হলফ করে বলা যায় সেক্স নিয়ে এই তথ্যগুলি আপনি জানতেন না। আর এই টিপস একবার সুযোগমতো কাজে লাগিয়ে দেখুন। সঙ্গী খুশি হবেন।
সেক্সের সময়সীমা
কথায় কথায় অনেকেই বলে থাকেন তিনি সঙ্গীর সঙ্গে টানা একঘন্টা সেক্স করেছেন। কিন্তু এসব গুজবে কান দেবেন না। কারণ আদর্শ সেক্সের স্থায়িত্ব ৮ থেকে ১৩ মিনিট পর্যন্ত। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বেশিরভাগ যুগলের সবচেয়ে উত্তেজক মুহূর্ত (orgasms) এই সময়েই এসেছে। তবে বিছানায় সঙ্গীকে পরিতৃপ্ত করার সবরকম সুযোগ সব সময়ই থাকে আপনার হাতে।
ওয়ার্কআউটের পর যৌনতার মজাই আলাদা
ওয়ার্ক আউটের পর ঘেমো শরীরে সঙ্গীর সঙ্গে আদুরে আলাপে মেতেছেন কি? না হলে অবশ্যই ট্রাই করে দেখুন। ওয়ার্কআউটের পর ইস্ট্রোজেন আর টেস্টোস্টেরন এমনিই বেশ ভালো কাজ করে। সেই সঙ্গে রক্তসঞ্চালন ভালো থাকে। সব মিলিয়ে সেক্সের উত্তেজনা দ্বিগুণ থাকে। আর এই সময় সেক্স করলে উভয়েই দারুণ ভাবে তৃপ্ত হন।
ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের অর্গ্যাজম দ্রুত হয়-
সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের অর্গ্যাজম অনেক দ্রুত হয়। শরীরী খেলা শুরু হওয়ার ৫ মিনিটের মাথাতেই মেয়েদের অর্গ্যাজম হয়। অন্যদিকে সেক্সের ১২ থেকে ২০ মিনিটের মাথায় ছেলেদের অর্গ্যাজম হয়।
সঠিক কন্ডোম বাছুন-
কন্ডোম ছাড়া সেক্স নয়। সবার আগে সুরক্ষা। কেননা আপনি এবং আপনার পার্টনার কেউই অবাঞ্ছিত প্রেগন্যান্সি চান না। বরং সেক্সটা উপভোগ করতে চান। তাই বিশেষজ্ঞরা বার বার জোর দেন ডটেড, রিবড এবং লুব্রিকেটেড কন্ডোম ব্যবহারের জন্য। এতে আপনার সঙ্গী আনন্দ পাবেন সেই সঙ্গে বিছানায় বাড়বে উত্তেজনা।