এমন সময় প্রায়ই আসতে পারে যখন যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে আসে। প্রেমপূর্ণ হৃদয়েও খরা নেমে আসতে পারে। নারী-পুরুষের যৌনতা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে টেসটোসটেরন হরমোন। তবে এর পেছনে ভূমিকা আছে বেশ কিছু খাবারের। খাবারের কারণে যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে আসার বিষয়কে সমর্থন করে বহু গবেষক। যদিও বিশেষ খাবারে যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি বা হ্রাসের বিষয়ে নিরেট প্রমাণ নেই। তবুও কিছু খাবারের স্বাদ, গন্ধ বা বর্ণ যৌন উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।
কিছু খাবার দেহে টেসটোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এদের মধ্যে চকোলেট, অ্যালকোহল বা পনিরের মতো খাবার রয়েছে। তবে এরা টেসটোস্টেরনকে ইস্ট্রোজেনে রূপান্তরিত করে। পুরুষদের ক্ষেত্রে ইস্ট্রোজেন রোমান্টিক মানসিকতা নষ্ট করে দেয়। নারীদের ক্ষেত্রেও তা ঘটে থাকে। এখানে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন ৫টি খাবারের কথা যা মানুষের যৌন চাহিদা বা আকাঙ্ক্ষা হ্রাস করে। এগুলো এড়িয়ে গিয়ে যৌন আকাঙ্ক্ষা ফিরিয়ে আনা যায়।
১. অ্যালকোহল :
বহু গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে যে অ্যালকোহল যৌন আকাঙ্ক্ষা কমিয়ে দেয়। এটি টেসটোস্টেরনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। যৌন চাহিদাও হ্রাস করে অ্যালকোহল।
২. ময়দা :
যে প্রক্রিয়াজাত ময়দা দিয়ে সবকিছু বানানো যায়, সে ময়দা যৌন আকাঙ্ক্ষা কমিয়ে দেয়। এ ময়দা তৈরিতে এমন সব উপাদান ব্যবহৃত হয় যা সেক্সের জন্যে দারুণ ক্ষতিকর। অন্যান্য গমের ময়দার চেয়ে এসব প্রক্রিয়াজাত ময়দায় জিঙ্কের পরিমাণ তিনগুন কম থাকে। এ ছাড়া প্রক্রিয়াজাত ময়দা দেহে ইনসুলিন উৎপাদন প্রতিহত করে। ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
৩. বীট :
পরিশ্রমের পর বীট পেশির যত্ন নেয়। তবে এস মিষ্টজাতীয় সবজিতে যৌন আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয় না। এদের বেশি খেলে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। যাদের দেহে হরমোনঘটিত সমস্যা রয়েছে তাদের জন্যে আরো ক্ষতিকর প্র্রভাব ফেলে বীট।
৪. বেরি জাতীয় ফল :
স্বাস্থ্যের জন্যে দারুণ উপকারী বেরি জাতীয় ফল। কিন্তু এর ভক্ষণযোগ্য ত্বকে থাকে কীটনাশক। এই ত্বক ইস্ট্রোজেনের ক্ষরণমাত্রা বৃদ্ধি করে। তবে যদি অর্গানিক ও কীটনাশকমুক্ত বেরি খাওয়া যায়, তবে তা যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি করতে পারে।
৫. বোতলজাত জল :
যৌন আকাঙ্ক্ষা হ্রাস সহ উর্বরতা নষ্ট করে প্লাস্টিক বোতলের কারণে। এতে পাওয়া যায় `বাইফেনোল এ` নামের এক উপাদান। এটা বিপিএ নামেই পরিচিত। এক সাধারণ রাসায়নিক উপাদান যা অধিকাংশ প্লাস্টিক পণ্যে থাকে। এই উপাদানটি স্বাস্থ্যের জন্যে মারাত্মক ক্ষতিকর। এক স্লোভেনিয়ান গবেষণায় বলা হয়, উর্বরতা ও বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে বোতলজাত জল। যে নারীর দেহে উচ্চমাত্রার বিপিএ থাকে তাদের ডিম্বের কার্যকারিতা কমে যায় ২৭ শতাংশ।