ধাতু দৌর্বল্য (Spermatorrhoea) কি : অনৈচ্ছিক বীর্যপাতের নামই হলো ধাতু দূর্বলতা উত্তেজনা, নাড়াচাড়া ছাড়াই প্রসাবের আগে বা পরে পুরুষাঙ্গ হতে বীর্য বের হওয়া, অথবা প্রসাবের সাথে বা কঠোর মেহনত, বোঝা উত্তোলন অথবা উত্তেজনা আসার দ্বারা কিংবা মহিলাকে স্পর্শ করার দ্বারা বীর্যপাত হয়। আবার অনেক সময় জোর খাটানোর সময় বীর্যপাত হয়ে যায়। তদ্রুপভাবে ঘুমে গেলে বীর্যপাত হয়। ধাতু বা বীর্য যেহেতু শরীরের রূহ বলা হয়ে থাকে, সেহেতু বীর্যপাত হওয়ার দ্বারা শরীরে অলসতা ও ধাতু দূর্বলতা দেখা দেয়। এমনকি কোমরে ব্যথাও অনুভব হয়।
সবচেয়ে ক্ষতিকর দিক হলো মাথার ব্রেনে দুর্বলতা প্রকাশ পায়। চেহারা শুকিয়ে যায়। শারীরিক দুর্বলতাও ব্যাপকভাবে প্রকাশ পায়। কোনো কাজেই ভালো লাগে না। সব কাজেই বিরক্তি বিরক্তি ভাব দেখা দেয়। সব সময় মনে চায় যদি শুয়ে থাকতে পারতাম। মহিলাদের প্রতি যৌন আকর্ষণ হ্রাস পেতে পেতে এক সময় তাদের প্রতি কোনো চাহিদাই জাগে না। কারো সাথে মেলা-মেশা, কথাবার্তা বলতেও ভালো লাগে না। নীরব ও অন্ধকার লাগে। একাকী ও নির্জনতা পছন্দ হয়। কারো কারো অবস্থা এমন করুণ হয়ে দাড়াঁইয়, যার কারণে আত্মহত্যার জন্যও প্রস্তুতি নেয়। এসব কেবল ধাতু দুর্বলতার কারণে হয়ে থাকে।
ধাতু দুর্বলতা রোগের কারণঃ
ধাতু দুর্বলতার অনেক কারণ আছে। তন্মধ্যে নিম্মোক্ত কারণগুলো বেশিরভাগ লোকদের মাঝে পাওয়া যায়।
১. উত্তেজনার বশিভুত হয়ে হস্তমৈথুন করে বীর্যপাত ঘটানো।
২. সমকামিতার মাধ্যমে বীর্যপাত ঘটানো।
৩. সব সময় পেটের অসুখ লেগে থাকার কারণে ধাতু দূর্বলতা হয়।
৪. কতক সময় অধিক গরম ও বিলম্বে হজম হয় এমন খাদ্য খাওয়ার দ্বারা।
৫. ভরপেটে সহবাস করার দ্বারা ধাতু দূর্বলতার দেখা দেয়।
৬. অশ্লীল, যৌন উদ্দীপক ছবি দেখার দ্বারা বীর্যপাত হয়ে থাকে। আর এসব কারণেই বেশিরভাগ ধাতু দুর্বলতা রোগ সৃষ্টি হয়ে থাকে।
ধাতু দূর্বলতার সমস্যা ও সমাধান
প্রত্যহ প্রাত:কালে অর্ধ পোয়া পরিমাণ ছোট পিয়াঁজ কুচি লবন চূর্নসহ চিবিয়ে খেয়ে আধা সের পরিমান কাচাঁ দুধ পান করিবেন ২/৩ সপ্তাহ এ ঔষধ সেবনে শুক্র গাড় ও তিশক্তি বৃদ্ধি হইবে এবং ধাতু দূর্বলতা দূর হবে। পূর্ব দিন রাত্রে সামান্য একটু জলে অর্ধ ছটাক পরিমান ইছুবগুল ভিজিয়ে রাখবেন। পরদিন প্রাত:কালে এটার সাথে ১ পোয়া ছাগলের কাচাঁ দুধ ও কিছু চিনি মিশিয়ে, বাসি পেটে সেবন করবেন। নিয়মিত এ ঔষধ ২/৩ সপ্তাহ সেবন করলে বলবীর্য অত্যাধিক বৃদ্ধি পাবে এবং ধাতু দূর্বলতার আস্তে আস্তে সমাপ্তি ঘটবে।
শুকনো আমলকী ৫০ গ্রাম উত্তমরুপে চূর্ন করে পরিস্কার কাপড়ে ছেকে নিতে হবে এবং কিছু পরিমান আমলকি পিষে রস বাহির করে নিতে হবে। ঐ আমলকি রসের সাথে আমলকি গুড়া উত্তম রুপে মিশিয়ে অল্প আঁচে শুকিয়ে পুনরায় রৌদ্রে শুস্ক করে নিতে হবে। এবার ঐ চূর্নের সাথে মিছরি গুড়া করে পরিমান মতো মধু নিয়ে প্রত্যহ সকালে সেবন করলে নপুংসকতা নাশ হয়।
তিন তোলা পরিমাণ ছোলাবুট রাত্রে ধুয়ে ভিজিয়ে রাখে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে খালী পেটে চিবিয়ে খাবেন। এই ভাবে একাধারে অন্তত একমাস খেলে পরে ধাতু দৌর্বল্য রোগ আরোগ্য হয়।
কৃষ্ণতিলা ও আমলকী সমপরিমানে চূর্ন করে উত্তমরুপে ছেকে নিবেন, প্রত্যেক রাত্রে শোয়ার পূর্বে ১ তোলা পরিমান চূর্ন মুখে দিয়ে এক গ্লাস ঠান্ডা জল পান করবেন। এইভাবে ২১ দিন নিয়মিত পান করিলে আপনার গোপন সমস্যা সমাধান হবে।
আম, জাম, ও তেঁতুলের বীজ সমান পরিমান নিয়ে উত্তমরুপে চূর্ন করতে হবে। প্রত্যহ রাত্রে শয়নকালে ১ তোলা পরিমান চূর্ন মুখে দিয়া এক গ্লাস ঠান্ডা জল পান করবেন। এই ভাবে ৩ সপ্তাহ সেবন করলে আপনার ধাতু দূর্বলতাসহ গোপন সমস্যা সমাধান হবে।
প্রতি রাতে শোয়ার পূর্বে এক কোয়া পেঁয়াজ দশটি কালো জিরার সাথে চিবিয়ে খেলে ৮০ বছর বয়স পর্যন্ত যৌবন শক্তি বহাল থাকে।
পুরাতন আম গাছের ছাল আগের দিন আধা গ্লাস পরিমান জলে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খালী পেটে সমপরিমানে গরুর কাচাঁ দুধ দিয়ে পান করলে আপনার গোপন সমস্যা ভালো হবে এবং ধাতু দূর্বলতাও দূর হবে।